TMC: তৃণমূলের সভাস্থলে বজ্রপাত, নিহত ১, দেবাংশুদের পৌঁছনোর নির্দেশ অভিষেকের
Bankura: আহতদের প্রথমে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে মৃত্যু হয় ১ জনের। পরে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
বাঁকুড়া: তৃণমূলের সভা ছিল। সেখানেই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল একজনের। জখম ৫০ জনের বেশি। রবিবার বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাস থানার আশিনপুরে এই ঘটনা ঘটে। এদিন তৃণমূলের সভা হওয়ার কথা ছিল। সেখানেই গিয়েছিলেন সামেদ মল্লিক ( ৪২)-সহ আরও দলীয় নেতা কর্মীরা। সেখানেই বাজ পড়ে ঘটে দুর্ঘটনা। মৃত্যু হয় ইন্দাস থানার বাতানিয়া গ্রামের সামেদের। এদিন তৃণমূলের সভায় যোগদানের জন্য এসেছিলেন বহু কর্মী সমর্থক। সভা শুরুর আগেই নেমে যায় বৃষ্টি। বৃষ্টি শুরু হতেই সভাস্থল ছেড়ে যে যার নিজের নিজের মত করে আশ্রয় নেন। অনেকেই আশ্রয় নেন গাছের তলায়। সভাস্থলের কাছেই একটি বড় বটগাছে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। সেই গাছের তলায় থাকা প্রত্যেকেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এই ঘটনায় উত্তর দিনাজপুর থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দেবাংশু ভট্টাচার্য-সহ স্থানীয় নেতাদের বিষয়টি দেখার কথা বলেছেন। আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। সবরকম সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন দলের তরফে।
আহতদের প্রথমে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে মৃত্যু হয় ১ জনের। পরে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যুব তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, “সভা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। বাজ পড়তে শুরু করে। দুর্যোগের কারণে দলের কয়েকজন সামনে বটগাছের তলায় গিয়ে দাঁড়ায়। এরপরই একজন মারা যায়। ৫০-এর বেশি আহত। ৭ জনকে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সবরকম সহযোগিতা করছে।”
সামেদ মল্লিকের পাশেই বাড়ি সবুর আলির। তাঁর কথায়, “সামেদ ভাই আর আমার পাশাপাশি ঘর। আমরা ধান তুলছিলাম। আমাকে বলল বৃষ্টি আসছে। তাড়াতাড়ি গুটিয়ে নে সব। আমি, আমার স্ত্রী সকলে ধান তুলছিলাম। হঠাৎ খুব জোরে বৃষ্টি নেমে যায়। সঙ্গে বাজ। পরে শুনি সামেদ ভাই মারা গিয়েছে। বলছে বটগাছের তলায় ছিল। মিটিং চলছিল। মারা গিয়েছে। আমার পাশের বাড়ির একজন তারও অবস্থা খুব খারাপ।”
বাঁকুড়ার পাশাপাশি এদিন নদিয়ায় বাজ পড়ে মারা যান একজন। সুজয় ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি মাঠে কাজ করছিলেন। সেই সময় বাজ পড়ে। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন সুজয়কে। চাপড়া থানার রাজিপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।