Memari: ‘মাথার উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক, জ্ঞান হারালাম’, এখনও আতঙ্কে মেমারির সুষেণ
Burdwan: বুধবার ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বর্ধমান স্টেশনে। সুষেণ বলেন, "আমি কিছুই বলতে পারব না। কী থেকে যে কী হল এখনও বুঝে উঠতে পারছি না। আমি তো অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। পরে দেখি শুধু জল। পরে বুঝি মাথায়, বুকে খুব লেগেছে। শেডের নীচে সিটে বসেছিলাম। জলই ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল রেললাইনের দিকে। আরেকজনকে তো লাইনেই ফেলে দেয়।"
পূর্ব বর্ধমান: রাতভর দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি মেমারির সুষেণ বল। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেও সেই ভয়াবহতা চোখের সামনে থেকে সরছে না। বুধবার বর্ধমান স্টেশনে যখন জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে, সেই ট্যাঙ্কের নীচে সিটে বসেছিলেন সুষেণ। মেমারির কালসি গ্রামের বাসিন্দা। বালাপোশ বানানোর কাজ করেন।
বুধবার ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বর্ধমান স্টেশনে। সুষেণ বলেন, “আমি কিছুই বলতে পারব না। কী থেকে যে কী হল এখনও বুঝে উঠতে পারছি না। আমি তো অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। পরে দেখি শুধু জল। পরে বুঝি মাথায়, বুকে খুব লেগেছে। শেডের নীচে সিটে বসেছিলাম। জলই ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল রেললাইনের দিকে। আরেকজনকে তো লাইনেই ফেলে দেয়।”
সুষেণ জানান, তাঁদের সাতজনের একটি দল বুধবার জনসাধারণ এক্সপ্রেস ধরবেন বলে অপেক্ষা করছিলেন। তখনই মাথায় কিছু একটা ভেঙে পড়ে। তিনি জানান, এত জলের তোড় কখনও দেখেননি। তাঁদের দলের দু’জন কোনওভাবে রক্ষা পান। তবে পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। স্থানীয় টোটোচালকরাই তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান। সুষেণ বুধবার দিনভর হাসপাতালে ছিলেন। বৃহস্পতিবারই বাড়ি ফেরেন।
বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের আর্থিক সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার স্বপন দেবনাথ বর্ধমান মেডিক্যালে যান। আহতদের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়।