জোড়া কোটালের ভ্রুকুটি, উপকূল বাঁচাতে তৎপর বনকর্মীরা, পাশে ‘শের’
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'শের'-এর এক সদস্য জানিয়েছেন, এই সংস্থা মূলত কাজ করে বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ সংরক্ষক হিসেবে। করোনাকালে, বহু মানুষ মারা গিয়েছেন, ইয়াসের দাপটে উপকূল বানভাসি, গ্রামবাসীদের সাহায্যের জন্য ইতিমধ্যেই কমিউনিটি কিচেন থেকে শুরু করে একাধিক সদর্থক পদক্ষেপ করেছে 'শের'
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুমিছিল দেখেছে বাংলা। কিছুদিন আগেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন উপকূলবাসী। তাঁদের সাহায্য় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন বনকর্মীরা। দিনভর চব্বিশ ঘণ্টার নিরলস পরিশ্রমে ঘরছাড়াকে ফেরাচ্ছেন ঘরে, কোথাও বা পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার। কিন্তু, ওঁদের পাশে দাঁড়াবে কে? সেই চিন্তা করেই সুন্দরবনের বনকর্মীদের পাশে দাঁড়াল ‘শের’নাম্নী এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মোট ২৫টি প্রোটেকশন ক্যাম্পের বনকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হল জরুরি মেডিসিন কিট।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘শের’-এর এক সদস্য জয়দীপ কুণ্ডু জানিয়েছেন, এই সংস্থা মূলত কাজ করে বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ সংরক্ষক হিসেবে। করোনাকালে, বহু মানুষ মারা গিয়েছেন, ইয়াসের দাপটে উপকূল বানভাসি, গ্রামবাসীদের সাহায্যের জন্য ইতিমধ্যেই কমিউনিটি কিচেন থেকে শুরু করে একাধিক সদর্থক পদক্ষেপ করেছে ‘শের’। কিন্তু, চব্বিশঘণ্টা অহরহ যাঁরা পরিষেবা দিচ্ছেন সেই সব বনকর্মীদেরও প্রাণ সংশয় হচ্ছে ক্ষেত্রবিশেষে। রয়েছে করোনার ভয়ও। তাই তাঁদের সুরক্ষার কথা ভেবে কিছু জরুরি ওষুধের ‘এমার্জেন্সি মেডিসিন কিট’ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে সংস্থার তরফে। এই কিটে থাকছে, অক্সিমিটার, ডিজিটাল থার্মোমিটার, ব্লাড প্রেশার মনিটরিং ডিভাইস, ছাতা, মাস্ক ছাড়াও দশ প্রকারের আরও প্রয়োজনীয় জরুরি ওষুধ। চলতি বছরে বনরক্ষী মেঘনাথ লোহার এবং রেঞ্জার অফিসার অর্ঘ্যদীপ রায়ের মৃত্যুস্মরণেই মূলত এই উদ্যোগ নিয়েছে ‘শের’।
বৃহস্পতিবার, বন দফতরের হাতে এই ‘মেডিসিন কিট’ তুলে দেয় ‘শের’। দারি ফার্সিজাত পরবর্তীতে হিন্দি ভাষায় চলে আসা ‘শের’শব্দের অর্থ সিংহ বা বাঘ। সুদীর্ঘ এগারো বছরের যাত্রায় ‘শের’ আসলে সোসাইটি ফর হেরিটেজ অ্যান্ড ইকোলজিক্যাল রিসার্চেস (SHER-Society for Heritage & Ecological Researches)। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষায় দীর্ঘদিন কাজ করে আসা ‘শের’-এর বিশ্বাস, একান্তবাস, সুরক্ষা ও সংরক্ষণের মাধ্যমেই বন্যপ্রাণ ও পরিবেশ রক্ষা সম্ভব।