Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Visva-Bharati University: ফের মধ্যরাতে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী, ছাত্রদের অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

Visva-Bharati University: উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্র-ছাত্রীদের করা অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দিল বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা।

Visva-Bharati University: ফের মধ্যরাতে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী, ছাত্রদের অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2022 | 9:02 AM

বীরভূম: ফের মধ্যরাত্রে উত্তাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্র-ছাত্রীদের করা অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দিল বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্বভারতী নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁদের মারধর করেছেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে দীর্ঘ ২০ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী। তাঁদের দাবি ছিল, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ। মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবন থেকে বেরোনোকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।  নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে গিয়ে ছাত্রদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

অভিযোগ, এরপরে মধ্যরাতে বিশ্বভারতী নিরাপত্তারক্ষীরা  বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীদের করা অবস্থান মঞ্চ ভেঙে ফেলেন। বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগ, মধ্যরাতে হঠাৎই বিশ্বভারতী নিরাপত্তা কর্মীরা গিয়ে তাঁদের অবস্থান মঞ্চ ভাঙচুর করেন।

পাল্টা বিশ্বভারতী ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার অশোক মাহাতো দাবি করেন,  রাতে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঢিল ইট ছোড়া হচ্ছে। সেই কারণেই বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মীরা মধ্যরাতে গিয়ে অবস্থান মঞ্চ ভেঙেছেন। এবং সেখান থেকে বেশ কিছু বোল্ডার ইটও উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত রয়েছে বিশ্বভারতী।

গত সপ্তাহে আবারও ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিশ্বভারতী। একাধিক দাবি-সহ সেদিন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ছাত্ররা। কিন্তু অভিযোগ, সে সময় উপাচার্য তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। এই খবর চাউর হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। উপাচার্যকে ঘেরাও করে শুরু হয় বিক্ষোভ। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তি চলে। সেবার ছাত্র বিক্ষোভে থাকার কারণে এক অধ্যাপককেও শোকজের মুখে পড়তে হয়েছিল।