Bagtui Case: লালন মৃত্য়ু মামলায় সিবিআই-এর বিরুদ্ধে FIR এ গরুপাচার মামলার তদন্তকারীদের নাম, জরুরি বৈঠকে সিবিআই অধিকর্তা

Bagtui Case: কলকাতায় এসেই সিজিও কমপ্লেক্সে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের দফতরে ডিআইজি, এসপি-সহ একাধিক ইন্সপেক্টরের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে সূত্রের খবর।

Bagtui Case: লালন মৃত্য়ু মামলায় সিবিআই-এর বিরুদ্ধে FIR এ গরুপাচার মামলার তদন্তকারীদের নাম, জরুরি বৈঠকে সিবিআই অধিকর্তা
লালন মৃত্যু রহস্যে চার সিবিআই কর্তাকে সাসপেন্ড
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2022 | 1:01 PM

কলকাতা: সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর অজয় ভাটনগর মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় এসেই সিজিও কমপ্লেক্সে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের দফতরে ডিআইজি, এসপি-সহ একাধিক ইন্সপেক্টরের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে সূত্রের খবর। বৈঠক বেশ কয়েক ঘণ্টা চলে। এফআইআর-এ গরুপাচার মামলার তদন্তকারী অফিসারদের নাম থাকা, ডিআইজি এবং এসপিদের পদের উল্লেখ থাকা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। সিবিআই ক্যাম্পের ভিতরে এই ঘটনা কীভাবে ঘটল, নজরদারির দায়িত্বে কারা ছিলেন, সব বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেন ভাটনাগর। এফআইআর-এর বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। সূত্রের খবর,  বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে সিবিআই।

প্রসঙ্গত,  রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এফআইআর-এ খুন, মারধর, তোলাবাজি, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।  ৩০২ ধারায় খুন, ৩২৩ ও ৩২৫ ধারায় মারধর ও আঘাত করে মার , ১২০বি ষড়যন্ত্র, ৪৪৮ অনধিকার প্রবেশ, ৫০৯ মহিলার সন্মানহানি-সহ বিভিন্ন গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডিআইজি সিবিআই, এসপি সিবিআই-সহ একাধিক কর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে লালনের পরিবারের তরফ থেকে। সুশান্ত ভট্টাচার্য ও স্বরূপ ভট্টাচার্য নামে দুই সিবিআই- অফিসারের নাম উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, এই দুই আধিকারিক গরু পাচার মামলায় তদন্ত করছেন। এই বিষয়টি অত্যন্ত ইঙ্গিতবাহী। সিবিআই-এর একাংশ দাবি করছে, এটা পুরোপুরি পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে। যেহেতু সিবিআই বীরভূমের গরু পাচার মামলার তদন্তে তৎপর, সেখানে গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতর মতো হাই প্রোফাইলড এক জন নেতাকে। সেক্ষেত্রে সিবিআই-কে চাপে রাখতেই, তদন্ত প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য এই দুই তদন্তকারী অফিসারের নাম যোগ করে দেওয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে পাল্টা আইনি পথে হাঁটছেন সিবিআই। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে লালনের স্ত্রীর করা  মামলা রামপুরহাট মহ্কুমা আদালতের এসিজেএমের এজলাসে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের উল্টোদিকেই পুলিশের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছড়ায়, তার জন্য খেয়াল রাখা হচ্ছে। প্রথম থেকেই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে আসছেন লালনের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেও সিআইডি তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।