Birbhum TMCP: চাকরি বিক্রি করেছেন কাউন্সিলরের স্বামী! টিএমসিপি-র নামে ফেসবুক পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য বীরভূমে
Birbhum TMCP: তবে এই ঘটনার পিছনে বিজেপির চক্রান্ত আছে বলে দাবি করছে তৃণমূল। এই বিষয়ে দুবরাজপুর পুরসভার পুরপ্রধান পীযূষ পান্ডে বলেন, সবটাই বিজেপির চক্রান্ত।
দুবরাজপুর: তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী চোর! বেআইনিভাবে লুটেপুটে খাচ্ছেন, চাকরি বিক্রি করছেন! খোদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ফেসবুক পেজে এমন পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য বীরভূমে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একটি ফেসবুক পেজ (টিএমসিপি, দুবরাজপুর) -এ কাউন্সিলরের স্বামী সম্পর্কে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘দুবরাজপুর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কা দাসের স্বামী গুরুপদ দাস চোর। পুরো ওয়ার্ডের টাকা লুটেপুটে খাচ্ছেন।’ এমনকী ওই ওয়ার্ডে শিক্ষাকেন্দ্রের ‘দিদিমণি’ পদে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ফেসবুক পেজের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
পোস্টে আরও অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডে একটি ক্যাজুয়াল পোস্টে চাকরির জন্য ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছেন গুরুপদ। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রতিটি ঘর থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন বলেও দাবি করা হয়েছে। এমন অভিযোগ সামনে আসায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুবরাজপুরে। যদিও এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করছেন কাউন্সিলরের স্বামী। তাঁর পাল্টা অভিযোগ তাঁকে বদনাম করার জন্য এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে। গুরুপদ দাস বলেন, ‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারা করছে জানি না। দল খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।’ জেলার টিএমসিপি নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের পেজ থেকে এই পোস্ট করা হয়নি। এই বিষয়ে শহর তৃণমূলের তরফ থেকে একটি এফআইআর করা হচ্ছে।
দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, ‘এই ফেসবুক পোস্টটি তো আমরা করিনি, করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এই ধরনের টাকা নেওয়া তৃণমূলের অভ্যাস। এই ধরনের কাজ তাঁরা করেই থাকেন। তৃণমূলের আপাদমস্তক জড়িয়ে আছে এই দুর্নীতির সঙ্গে। ভাল করে তদন্ত হলে তৃণমূলের প্রত্যেকেই এই ধরনের ঘটনায় জড়াবে।’
তবে এই ঘটনার পিছনে বিজেপির চক্রান্ত আছে বলে দাবি করছে তৃণমূল। এই বিষয়ে দুবরাজপুর পুরসভার পুরপ্রধান পীযূষ পান্ডে বলেন, সবটাই বিজেপির চক্রান্ত। এই ধরনের পোস্ট কে কীভাবে করল, এই বিষয়ে তদন্ত করব আমরা। কাউন্সিলরের স্বামী তৃণমূলের কোনও পদে নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রশ্ন উঠছে, বীরভূম জেলায় কি তাহলে চরম আকার নিচ্ছে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? নাকি অন্য কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে?