Amit Shah: লালমাটির দেশে শাহি সভায় লোকসভার ঢাকে কাঠি, ঘুরিয়ে কি পঞ্চায়েতেরই বার্তা? কী বলছে BJP
Amit Shah: সামনেই যখন বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট, তখন শাহি সভা থেকে সরাসরি লোকসভার ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। নেপথ্যে কি কোনও রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে অমিত শাহর? এমন প্রশ্ন কিন্তু ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।
সিউড়ি: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। সব দলই পঞ্চায়েতের প্রচারে ছোটাছুটি করতে ব্যস্ত। ব্যস্ততা বঙ্গ বিজেপিতেও (BJP)। পঞ্চায়েত নিয়ে যখন বঙ্গ রাজনীতিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়ে বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে লোকসভার ঢাকে কাঠি বাজিয়ে দিলেন মোদীর সেনাপতি অমিত শাহ (Amit Shah)। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের জন্য টার্গেট বেঁধে দিলেন, লোকসভায় ৩৫টি আসন লাগবেই বাংলা থেকে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কোনও কথাই এদিন শোনা গেল না বীরভূমের শাহি সভায়। সরাসরি লোকসভা ভোটের লক্ষ্য স্থির করে দিলেন অমিত শাহ। জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির ভোট সমীকরণের হিসেব নিকেশের ক্ষেত্রে অমিত শাহের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। রাজনৈতিক মহলে চাণক্য হিসেবেও অনেকে তুলনা টেনে থাকেন তাঁর। কিছুদিন আগে অসমে গিয়েও দলকে টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে টার্গেট ১৪-র মধ্যে ১২ আসন। কিন্তু সামনেই যখন বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট, তখন শাহি সভা থেকে সরাসরি লোকসভার ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। নেপথ্যে কি কোনও রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে অমিত শাহর? এমন প্রশ্ন কিন্তু ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় বড় নির্বাচন বলতে গেলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনই। লোকসভা ভোট ও পঞ্চায়েত ভোটের ইস্যু অবশ্যই আলাদা। কিন্তু, বর্তমানের রাজ্য রাজনীতির বাতাবরণ যেমন, তাতে অনেকেই মনে করছেন লোকসভার আগে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন একটি লিটমাস টেস্টের মতো। ঠিক যেমন মাধ্যমিকের আগে টেস্ট পরীক্ষা হয়, তেমনই। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিকে বসতে গেলে টেস্ট তো দিতেই হবে। আর এই সহজ পাটিগণিতের হিসেবটাই কি সিউড়ির মঞ্চ থেকে কষে গেলেন অমিত শাহ? অর্থাৎ, লোকসভা ভোটের টার্গেট বেঁধে দেওয়া মানে কি তিনি ধরেই নিচ্ছেন দল পঞ্চায়েতেও অবশ্যই ভাল ফল করবে? আর সেই কারণেই কি আলাদা করে পঞ্চায়েতের জন্য কোনও বার্তা দিলেন না? লোকসভার টার্গেট বেঁধে দেওয়ায় কি বঙ্গ বিজেপির জন্য পঞ্চায়েতেও ভাল ফল করার একটি প্রচ্ছন্ন চাপ তৈরি হল?
শাহি টার্গেটে কি পঞ্চায়েতে ভাল ফল করার চাপ বাড়ল বিজেপির? এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে। তিনি বলছেন, ‘এটাই অত্যন্ত স্বাভাবিক। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের নির্বাচন। মানুষের সর্বস্তরের অংশীদারিত্বকে সামনে রেখেই আমাদের শুরু করতে হবে। পঞ্চায়েত প্রাথমিক, তারপরই লোকসভা নির্বাচন।’ শমীকবাবু এও বলছেন, পঞ্চায়েত ভোট যদি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়, যদি জনগণের রায়ের প্রকৃত প্রতিফলন হয়, তাহলে তৃণমূল পঞ্চায়েতে একটি জেলাপরিষদও দখল করতে পারবে না।