Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘দড়ি ছেঁড়া গরুকে খুঁটিতে বাঁধা হল’, মুকুল নিয়ে ‘কেষ্ট’র কটাক্ষ

মুকুলের তৃণমূলে ঘরওয়াপসি নিয়ে অনুব্রতর টিপ্পনী, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন তাঁর সঙ্গে কী কথাবার্তা হয়েছে। আমি তো কলকাতায় নাই।''

'দড়ি ছেঁড়া গরুকে খুঁটিতে বাঁধা হল', মুকুল নিয়ে 'কেষ্ট'র কটাক্ষ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 12, 2021 | 12:57 AM

বীরভূম: চার বছর পর আবার পুরনো দলে ফিরলেন মুকুল রায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি থেকে মুকুলের তৃণমূল প্রত্যাবর্তনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তই শেষ কথা বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সব তৃণমূল নেতা। অনুব্রতও তাই বলেছেন। তবে তার মধ্যেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন। মুকুল ও অন্যান্য দলত্যাগীর ঘরে ফেরা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল, আবার খুঁটিতে এনে বাঁধা হল।’

মুকুল ও অনুব্রতর বিবাদ বহু পুরনো। ২০১৯ সালে বীরভূমে ‘ভাইপো’ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়। সে বছরের জানুয়ারি মাসে বীরভূমের বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে এক জন ছিলেন বিশ্বরূপ মণ্ডল ওরফে টাইগার। মুকুল রায় দাবি করেন, এই বিশ্বরূপই হলেন অনুব্রত মণ্ডলের ভাইপো। যদিও অনুব্রত সেই দাবি নস্যাৎ করে মন্তব্য করেন, ‘চিনি না, পাগল সব।’

শুক্রবার সেই মুকুলের প্রত্যাবর্তনে মমতার স্নেহের কেষ্টর প্রতিক্রিয়া, ‘এতদিন তো ওঁকে বলা হত চাণক্য। কিন্তু একুশের নির্বাচনে তো ছিল না এই চাণক্য (তৃণমূলে)। তাহলে চাণক্য একটাই। সেটা হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” অনুব্রত আরও বলেন, “নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই দলের সিদ্ধান্ত। দল যদি মনে করে মুকুল রায়কে দরকার আছে নেবে। সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন।”

বছর দুয়েক আগে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে চালকল ও জমি-দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন এই মুকুল রায়। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে মুকুল বলেছিলেন, ‘‘সব কাগজ হাতে নিয়ে বলছি। এটা ট্রেলার মাত্র। এর জবাব দিতে হবে অনুব্রতকে।’’ সেবার কম যাননি অনুব্রতও। তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল,‘‘সব মিথ্যে। উনি মিথ্যুক।’’ তাছাড়াও মুকুল রায়কে ‘ভুঁইফোড়,’ ‘কুলআঁটি’ এবং ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ নেতা বলে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে অনুব্রতকে।

আরও পড়ুন: ‘চাটনি’ থেকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি, কেমন কাটল মুকুলের ৪ বছরের পদ্মাবাস?

আর শুক্রবার মুকুলের তৃণমূলে ঘরওয়াপসি নিয়ে অনুব্রতর টিপ্পনী, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন তাঁর সঙ্গে কী কথাবার্তা হয়েছে। আমি তো কলকাতায় নাই।” এর পরেই অনুব্রতর তীব্র খোঁচা, “অনেক গরু থাকে রাতে দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে যায়। আবার সকালবেলা এনে খুঁটিতে বেঁধে দিতে হয়। এরা দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। আবার খুঁটিতে এনে বাঁধা হচ্ছে।”