‘বিতর্ক-ভারতী’! উপাচার্য ‘মানহানি’ করেছেন, প্রশাসনের দ্বারস্থ বিশ্বভারতীর অধ্যাপক
মানসবাবুর আইনজীবী জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৫০০ অনুযায়ী, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা সম্ভব।
বীরভূম: বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University)। সম্প্রতি, রাজ্য সরকারের উল্টো পথে হেঁটে দশম-দ্বাদশ শ্রেণির অনলাইনে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতী। পাশাপাশি, জোড়া অডিয়ো বিতর্কে নাম জড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Vice Chancellor) বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। ভার্চুয়াল বৈঠকের সেই অডিও বার্তাকে কেন্দ্র করেই মানহানির অভিযোগে উপাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করলেন পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক মানস মাইতি।
অধ্যাপক মানস মাইতির অভিযোগ, গত ৮জুন ভার্চুয়াল বৈঠকে অধ্য়াপকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফাঁস হওয়া জোড়া অডিয়োতে স্পষ্টই শোনা যায়, উপাচার্য বলছেন, “আমাকে তো অনেকে গালিগালাজ করেন। বোঝাই যায়, তাঁরা কোন সংস্কারে, কোন পরিবারে বড় হয়েছেন! কারণ, মানুষ মা-বাবার থেকেই সংস্কার শেখেন।” পরিবার ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে উপাচার্যের (Vice Chancellor) এ হেন অপমানজনক মন্তব্য়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন অধ্যাপকেরা। এমনকী চলতি বৈঠকে অধ্যাপক মানসবাবুকে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন উপাচার্য এমনটাই অভিযোগ।
এরপরেই, শনিবার, বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপক (Professor)। মানসবাবুর আইনজীবী জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৫০০ অনুযায়ী, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা সম্ভব। এর জেরে, অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়বিধ দণ্ড জারি হতে পারে। তবে, এই ঘটনায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।