Anubrata Mondal: ব্যারাজের নামেও তোলাবাজি? ৫ কোটি নগদ-দামি গাড়ি দিয়েও হাতছাড়া টেন্ডার, কাঠগড়ায় কেষ্ট
Anubrata Mondal: এক নথিতে বলা হয়, ভুয়ো চালান, ট্রানজিট পাস দেখিয়ে সংস্থার গাড়ি পাচারে যুক্ত। তাই বাতিল করা হল জলাধার সংস্কারের বরাত।
বীরভূম: গরু পাচারের টাকা থেকে টেন্ডারের ঘুষের টাকা। অভিযোগ বিস্তর। কেষ্ট-কাহিনিতে জড়িয়েছে তিলপাড়া ব্যারাজও। বাদ পড়েনি জলাধারও। অনুব্রতর গ্রেফতারির পর তিলপাড়া ব্যারাজ নিয়েও বিতর্ক তুঙ্গে। সংস্কার করতে গিয়ে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রায় সাড়ে দশ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। অভিযোগ তেমনই। এমনকি একটি দামী গাড়িও নিয়েছিলেন বলে বীরভূমের দুই ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন। একজন প্রবীর মণ্ডল, আরেকজনের নাম অরূপ রতন ভট্টাচার্য।
ব্যবসায়ী অরূপরতন ভট্টাচার্য বলেন, “দশ কোটি টাকা আমাদের থেকে তোলা চাওয়া হয়েছিল। অনুব্রত মণ্ডল তোলা চেয়েছিল। তার পরিবর্তে গাড়ি দিয়েছিলাম, ৫ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম।” একে তোলা চাওয়া, তারওপর ৫ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা-গাড়ি দিয়েও টেন্ডার হাতছাড়া! এক নথিতে বলা হয়, ভুয়ো চালান, ট্রানজিট পাস দেখিয়ে সংস্থার গাড়ি পাচারে যুক্ত। তাই বাতিল করা হল জলাধার সংস্কারের বরাত। পরে আরেকটি সরকারি নথিতে ক্লিনচিট দেয় জেলা প্রশাসন। এরপরও গাঁজা কেস দেওয়ার হুমকি, দাবি ব্যবসায়ীর।
অরূপরতনের আরও অভিযোগ, “২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর একদিন রাত দেড়টা নাগাদ আমাকে ফোন করে বলছে, টাকা তুলবি নাকি গাঁজা ভরে কেস দিয়ে দেব। ভয়ে আমরা জেলা পরিষদ থেকে টাকা তুলে নিই। কারণ আমাদের গাড়ি দেওয়া ছিল।”
তিলপাড়া ব্যারাজ, যা সরকারে অধীন, যার ইটেন্ডার হওয়ার কথা। কিন্তু সেটাও কীভাবে নির্দিষ্ট লোককে পাইয়ে দেওয়া যায়? সে প্রশ্নও উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে কয়েকশো কোটি টাকার কাজ হয়, সেখানেও কি এই ভাবে বরাত পেতে হয়, এই অভিযোগ যেন তারই একটা উদাহরণ। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
অনুব্রতর গ্রেফতারির পর থেকে বীরভূমে তোলাবাজির অভিযোগ যেন আরও বেশি করে সামনে আসছে। আপাতত ‘প্রভাবশালী’ গেরোয় কেষ্ট আপাতত সিবিআই হেফাজতেই।