Madhyamik2022: সোমবার পরীক্ষা, অ্যাডমিট না পেয়ে কেঁদে ভাসাচ্ছে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

Birbhum: বীরভূমের সিউড়ি-১ ব্লকের অজয়পুর হাইস্কুল। সেই স্কুলেরই তিন ছাত্রী এখনও মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড হাতে পায়নি বলে অভিযোগ।

Madhyamik2022: সোমবার পরীক্ষা, অ্যাডমিট না পেয়ে কেঁদে ভাসাচ্ছে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
দুই ছাত্রী রাবিয়া ও নাজমা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2022 | 6:50 PM

বীরভূম: সোমবার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। কিন্তু শনিবার অবধি মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ডই হাতে পেল না তিন ছাত্রী। আদৌ এবার তাদের মাধ্যমিকে বসা হবে কি না তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছে পরিবার। অন্যদিকে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ছেড়ে এমন তিন পরীক্ষার্থীর মাথায় ঘুরছে অ্যাডমিট-বিভ্রাট! হাউ হাউ করে কেঁদে ভাসাচ্ছে তারা। বীরভূমের সিউড়ি-১ ব্লকের অজয়পুর হাইস্কুল। সেই স্কুলেরই তিন ছাত্রী এখনও মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড হাতে পায়নি বলে অভিযোগ। এদিকে অ্যাডমিট কার্ডে হাতে না পেলে পরীক্ষায় বসাও যে কঠিন, তা ইতিমধ্যেই তারা জানতে পেরেছে। ফলে বেড়েছে উদ্বেগ।

কিন্তু কেন অ্যাডমিট কার্ড স্কুলে এল না? রেজিস্ট্রেশনে কি কোনওরকম গোলমাল হয়েছিল? চরম বিপাকে পড়া দুই ছাত্রী রাবিয়া খাতুন ও নাজমা খাতুন জানায়, নির্দিষ্ট সময়েই রেজিস্ট্রেশন করেছিল তারা। কোনও সমস্যা থাকলে স্কুল জানাত। কিন্তু তাদের কাছে এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য আসেনি। অথচ পর্ষদ অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার পর দেখা গেল অজয়পুর হাইস্কুলের বাকি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড এলেও রাবিয়া, নাজমা-সহ আরও এক ছাত্রীর অ্যাডমিট কার্ড এসে পৌঁছয়নি।

রাবিয়া খাতুন জানায়, “আমি ফর্ম ফিলআপ করেছি। কিন্তু রেজিস্ট্রেশনও দেয়নি। অ্যাডমিট কার্ডও আসেনি। স্কুল যখন যেতে বলেছে গিয়েছি। তিন মাস আগে জন্মের সার্টিফিকেট জমা দিয়ে এসেছি। গত বুধবার গেলাম স্কুলে। বলছে অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। আমার দাদাও এবার মাধ্যমিক দেবে। ওর অ্যাডমিট কার্ড এসে গিয়েছে। অথচ আমার এল না। স্যর বলছেন দেরী করে আমরা ফর্ম ফিলআপ করেছি। কিন্তু মোটেই তা নয়। সময়মতোই করেছি। আর দেরী হলে স্যর তো আগেই বলতেন।” এখন কেঁদে ভাসাচ্ছে ওই ছাত্রী। ভয়, এবার যদি পরীক্ষাটাই না দেওয়া হয়!

আরেক ছাত্রী নাজমা খাতুনের কথায়, “এখনও অ্যাডমিট কার্ড আসেনি আমাদের তিনজনের। কিন্তু সোমবার পরীক্ষা। এখনও অ্যাডমিট কার্ড পেলাম না। এক বছর ধরে পড়াশোনা করলাম। এখন যদি পরীক্ষা না দিতে পারি! স্যররাও বলতে পারছেন না আদৌ এটা পাব কি না।” নাজমার কথায়, অনেক কষ্ট করে পরিবার পড়াশোনা করাচ্ছে। এখন যদি একটা বছর নষ্ট হয়, তা কীভাবে সামাল দেবে তার চিন্তায় বাড়ির লোকেরা।

বীরভূম জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক চন্দ্রশেখর জাউলিয়া অবশ্য জানিয়েছেন, যে সব পরীক্ষার্থীদের এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছে, তাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বলা হয়েছে যেন দ্রুত শিক্ষা দফতরে যোগাযোগ করে। পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, “আমি আবারও ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ফোন করে বিষয়টি সম্পর্কে জানব।”

আরও পড়ুন: Madhyamik 2022: সোমবার থেকে শুরু মাধ্যমিক, সাংবাদিক সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা পর্ষদ সভাপতির

আরও পড়ুন: Moynaguri: মানুষ জিতিয়েছেন, নিজে হাতে লাড্ডু বানিয়ে ওয়ার্ডবাসীকে খাওয়ালেন নির্দল কাউন্সিলর