Birbhum TMC: জেলার নাকি ‘ছোট’ কেষ্ট, তৃণমূলের পুরনো সেই নেতাই পদ ছাড়তে চেয়ে চিঠি লিখলেন অভিষেককে
Birbhum: নুরুলসাহেব এর আগে ওই ব্লকের ১৯৯২ সাল থেকে যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল দল করলে ব্লক সভাপতি হন। সেই বছরই সিপিএমের ভরা বাজারে দু'টি পঞ্চায়েত দখল করে তারা। তারপর থেকে সাংগঠনিক ভাবে সমস্ত কিছু ব্লক সভাপতিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে।

সিউড়ি: অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। কানাঘুষো শোনা যায় এলাকার লোকজন তাঁকে ‘ছোট কেষ্ট’ বলে ডাকতেন। লোকসভা নির্বাচনের সময় একাধিকবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে আক্রমণও করেছেন। তৃণমূলের সেই পুরনো নেতা তথা বীরভূমের সিউড়ি ২ ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম পদত্যাগ করতে চেয়ে চিঠি লিখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শতাব্দী রায়কে। আর তাঁর পদ ছাড়া নিয়ে পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। যদিও নুরুলের দাবি,পরবর্তী প্রজন্মকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয়। তিনি তাঁদের মেন্টর হয়ে থাকতে চান। অন্যদিকে বিজেপির দাবি,নুরুল ইসলাম ভয় পেয়েছেন। তাই পদ ছেড়ে দিতে চাইছেন।
দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে নুরুল ইসলাম দলের ব্লক সভাপতি। তারপর নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে তিনি পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ান। প্রথমবার জয়লাভ করেই জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হয়েছেন। কিন্তু এবার তিনি ছাড়তে চলেছেন ব্লক সভাপতির পদ। দলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের ‘এক ব্যক্তি, এক পদের’ নীতিতে বিশ্বাসী নুরুল।
নুরুলসাহেব এর আগে ওই ব্লকের ১৯৯২ সাল থেকে যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল দল করলে ব্লক সভাপতি হন। সেই বছরই সিপিএমের ভরা বাজারে দু’টি পঞ্চায়েত দখল করে তারা। তারপর থেকে সাংগঠনিক ভাবে সমস্ত কিছু ব্লক সভাপতিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে। বিতর্কও পিছু ছাড়েনি। ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী হিংসাতে এই ব্লকের তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। শোনা যায়, জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ‘লাকি’ জায়গা ছিল এই ব্লক। তাই যে কোনও কর্মসূচির শুরুটা হত এই ব্লক থেকেই। পুরন্দরপুরের বিশাল পার্টি অফিসে এখনও জ্বলজ্বল করছে বিশালাকার কেষ্টর ছবি। এই পার্টি অফিস থেকেই ব্লকের সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করেন নুরুল। এখন তিনি জেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কর্মাধ্যক্ষের পদে রয়েছেন। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছোটাছুটিও বেড়েছে। এরই মাঝে চলতি সপ্তাহে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লিখেছেন।
লোকসভা ভোটের আগে সিউড়ি-২ ব্লকের পুরন্দরপুরে একটি নির্বাচনী সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী নুরুলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। নুরুল ইসলাম অতীতে বীরভূমের সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। অনুব্রত মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই ওই ব্যাঙ্কে অনেক ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া যায়। যদিও,
নুরুল ইসলাম, সিউড়ি ২ ব্লক সভাপতি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে একজায়গায় থাকা ঠিক নয়। এর মধ্যে অন্য কিছু আছে বলে মনে হয় না। নতুনদের জায়গা করে দিতে চাই।”





