CID in Birbhum: ২০ মিনিট ধরে সিবিআই ক্যাম্প ঘুরে দেখলেন CID আধিকারিকেরা
CID in Birbhum: ক্যাম্পের সিসিটিভি কোথায় আছে, সেটাও খতিয়ে দেখবেন সিআইডি অফিসাররা। বৃহস্পতিবার লালনের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন সিআইডি আধিকারিকরা।
বীরভূম: মঙ্গলবার লালন শেখের মৃত্যুর তদন্তভার গ্রহণ করেছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি (CID)। আর তারপরই তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছেন সংস্থার আধিকারিকরা। আই জি সিআইডি সুনীল চৌধুরীর নেতৃত্বে বুধবারই সিআইডি-র একটি তদন্তকারী দল প্রথমে তারাপীঠের পুলিশ গেস্ট হাউসে যায়। পরে রামপুরহাট পুলিশের কাছ থেকে কেস ডায়রি নেন তাঁরা। এরপর যান রামপুরহাটের সেই অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে, যেখানে গত সোমবার লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যু হয়েছে। সেই ক্যাম্পে প্রায় ২০ মিনিট ছিলেন তদন্তকারীরা।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন অফিসাররা গোটা গেস্ট হাউস ঘুরে দেখেন। কোথায় লালন সহ অভিযুক্তদের রাখা হয়েছিল, কোন শৌচাগার থেকে লালনের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে, এই সব খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ক্যাম্প অফিসে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেন।
বুধবারই ওই ক্যাম্পে যাওয়ার কথা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কেস ডায়রি নিয়ে ফের একদফা বৈঠক করবেন সিআইডি আধিকারিকরা। তারপর সিবিআই-এর কাছে তালিকা চাওয়া হবে, কারা কারা এই ক্যাম্পে থাকেন। ঘটনার দিন ক্যাম্পে কে কে ছিলেন, সেই তালিকাও চাইবে সিআইডি। এছাড়া জানতে চাওয়া হবে, সে দিন কে প্রথম লালনের দেহ দেখেছিলেন। ক্যাম্পের সিসিটিভি কোথায় আছে, সেটাও খতিয়ে দেখবেন সিআইডি অফিসাররা। বৃহস্পতিবার লালনের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন সিআইডি আধিকারিকরা।
আই জি সিআইডি সুনীল চৌধুরী জানান, আপাতত তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনই বিস্তারিত কিছু জানানো যাবে না। যা তথ্য সামনে আসবে, তা ক্রমশ জানানো হবে।
সোমবার সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় বগটুই গণহত্যার অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের। এরপর মঙ্গলবার নবান্নের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি। ইতিমধ্যেই রামপুরহাটে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। সেই মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। লালনের পরিবারও প্রথম থেকে সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। বুধবার সকালেই ময়নাতদন্তের পর লালন শেখের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।