Bombing at Dubrajpur: তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই? অন্তত ১৫০ খানা বোমা পড়ল গ্রামে
Bombing at Dubrajpur: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে তৃণমূলের দুই নেতা আজম শেখ ও সেলিম শেখ- দুজনের বিবাদেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুবরাজপুরের যশপুর। এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর সমর্থকের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তারপর সমর্থকদের ওপর চলে অবাধে হামলা, বোমাবাজি।
দুবরাজপুর: শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার সতর্ক করছে। তারপরেও কোন্দল থামার নাম নেই! তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে ফের দুষ্কৃতী তাণ্ডব বীরভূমের দুবরাজপুরে। যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে একের পর এক বাড়িতে চলল ভাঙচুর। তারপরও মুড়ি মুড়কির পর বোমাবাজি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সিভিক ভলান্টিয়ার সহ তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর সমর্থকদের ৪০টি বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরপর বোমার শব্দ শোনা গিয়েছে গ্রামে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, অন্তত শুক্রবার অন্তত ১৫০ খানা বোমা পড়েছে দুবরাজপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে তৃণমূলের দুই নেতা আজম শেখ ও সেলিম শেখ- দুজনের বিবাদেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুবরাজপুরের যশপুর। এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর সমর্থকের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তারপর সমর্থকদের ওপর চলে অবাধে হামলা, বোমাবাজি।
বাড়ি, গাড়ি ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুরু হয় মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি। প্রবল তাণ্ডবের জেরে গ্রামবাসীরা সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন। এই বীরভূমেই বগটুই গ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে তাণ্ডব চলেছিল। ১০ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় কেঁপে গিয়েছিল গোটা রাজ্য। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী সব বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেন। তারপরেও কীভাবে গ্রামে গ্রামে এত বোমার আমদানি হচ্ছে? বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে কী করছে পুলিশ? উঠছে প্রশ্ন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন এই ধরনের কাজ যারা করে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী নয়, ওরা দুষ্কৃতী বলে মনে করি। তবে বিজেপি বলছে, গোষ্ঠী কোন্দল বীরভূমে কোনও নতুন ঘটনা নয়।
ঘটনার পর সকাল থেকেই থমথমে দুবরাজপুরের খোয়াজ মহম্মদপুর গ্রাম। গ্রামে মোতায়েন রয়েছে দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রামের একাংশ কার্যত পুরুষ শূন্য হয়ে রয়েছে এই মুহূর্তে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে গ্রাম জুড়ে পড়ে রয়েছে বোমার সুতলি, কৌটো বোমার খোল ও স্প্লিন্টার। গ্রামের মহিলারা জানাচ্ছেন, এই গ্রামে অনেক মহিলারাও বোমা বাঁধে এবং বোমা মারে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছেন না বলেও দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা।