Birbhum TMC: ‘নেতারা এসি গাড়িতে হাত নাড়িয়ে চলে যেতেন, করজোড় করতেন না’, কেষ্ট-হীন বীরভূমে বিস্ফোরক কাজল
Birbhum TMC: তাঁর বক্তব্য, দলের অন্দরে কোথাও একটা গাফিলতি ছিল, যে কারণে হারতে হয়েছে কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে।
বীরভূম : বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল বীরভূম কেষ্ট-হীন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে গিয়ে বলে এসেছেন, তিনি নিজে দেখবেন এই জেলা। আর সেই জেলায় দলের নেতার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। কোর কমিটিতে জায়গা পাওয়ার পর থেকে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা যাচ্ছে বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখের মুখে। কখনও নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলকে নিশানা করেছেন, আবার কখনও নাম নিয়ে বিঁধেছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতাদের। মঙ্গলবার বুথ কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ বলেন, ‘আমি কাউকে ভয় পাই না। আমিও সত্যের পথে চলি, তাই কে কী বলল, তাতে আমার কিছুই যায় আসে না।’
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশঙ্কা করি যে ঠিকঠাক বাড়ি ফিরতে পারব কি না। ঘরে, বাইরে অনেক শত্রু। কখন কী করে দেবে।’ তিনি জানান, কিছুদিন আগেই একটা ঘটনা ঘটেছিল। বাইরে থেকে আসা দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারার প্ল্যান করেছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু নেতা ছিলেন, যাঁরা মানুষের সঙ্গে ঠিকঠাক যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি। তাই বিধানসভার ভোটে কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে হেরে গিয়েছিল।’ কাজল শেখের কথায়, ওই সব নেতারা এসি গাড়িতে এসে হাত নাড়িয়ে চলে যেতেন, করজোড় করতেন না।’
তাঁর বক্তব্য, দলের অন্দরে কোথাও একটা গাফিলতি ছিল, যে কারণে হারতে হয়েছে কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত অনুব্রতর এলাকা বলেই পরিচিত। তাঁর গড়ের এই হারের কথা উল্লেখ করে কাজল শেখ অনুব্রতকে কটাক্ষ করেছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তবে কোর কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজল শেখকে জায়গা করে দেওয়ার পর যেভাবে তাঁর বক্তব্যে বিভিন্ন সময় অসন্তোষ প্রকাশ পাচ্ছে, তাতে মনে করা হচ্ছে দলের অন্দরেই ক্ষোভ এবং অন্তর্দ্বন্দ্ব দানা বাঁধছে। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক তৃণমূল ধরে রাখতে পারে কি না, সেটাই দেখার।