Bidyut Chakrabarty: আশ্রমিকরা অশিক্ষিত, বুড়ো খোকা! সমাবর্তনের আগে ফের বিস্ফোরক বিশ্বভারতীর উপাচার্য
Visva-Bharati University: ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সূত্রের খবর, ওই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ওই অনুষ্ঠানের একদিন আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যের এমন মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
শান্তিনিকেতন: ফের বিস্ফোরক বিশ্বভারতীর উপাচার্য। ফের নতুন করে বিতর্ক। অমর্ত্য সেন-বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) জমি বিতর্কের আবহে এবার আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এবার আশ্রমিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। এর আগে অমর্ত্য সেনের নোবেল প্রাইজ পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। বুধাবার শান্তিনিকেতনের মন্দিরে সাপ্তাহিক উপাসনা ছিল। সেখানে এসে উপাচার্য কার্যত আক্ষেপের সুরে বলেন, শান্তিনিকেতনের রাবীন্দ্রিক, আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীরা অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, বিশ্বভারতীকে কুলষিত করছেন এ সব ব্যক্তিরা।
২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সূত্রের খবর, ওই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ওই অনুষ্ঠানের একদিন আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যের এমন মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। উপাচার্য এদিন আরও জানান, প্রাক্তনী, আশ্রমিকরা হলেন বুড়ো খোকা। বুড়ো বয়সে ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে বলে কটাক্ষও করেন। তাঁর দাবি, বিশ্বভারতীর কোনও কাজে এঁদের পাওয়া যায় না। তাঁদের পুঁথিগত বিদ্যা নিয়ে উপাচার্য প্রশ্ন তোলায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আশ্রমিকের একাংশ। আশ্রমিক অপর্ণা দাস মহাপাত্র বলেন, “উনি প্রায়ই দিন এই ধরনের মন্তব্য করছেন এবং আক্রমণ করছেন , ওনাকে নিয়ে আর বলার কিছু নেই।” আশ্রমিক স্বপন কুমার ঘোষ বলেন, “বিশ্বভারতীর উপাচার্য যে ধরনের মন্তব্য করছেন, যেগুলো শুনলে মন খারাপ হয়ে যায়। মর্মাহত বোধ করি। ” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশধর এবং আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, “আমরা শিক্ষা পায়নি, খারাপ লোক, উনি একমাত্র ভদ্রলোক। কী করা যাবে? খারাপ লাগে এ সব শুনতে।”
সম্প্রতি বিশ্বভারতী-অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়ে জোর চর্চা চলে রাজ্য রাজনীতিতে। বিশ্বভারতী দাবি করেছে, অমর্ত্য সেন অবৈধভাবে বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রয়েছেন। অমর্ত্য সেনের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কিছুদিন আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেলজয়ীর বাড়িতে এসে জমির প্রামাণ্য কাগজ পত্র দিয়ে যান এবং দাবি করেন বিশ্বভারতী যে জমি নিজেদের বলে দাবি করছে, তা অমর্ত্য সেনেরই। অমর্ত্য সেনের পিতা সেই জমি লিজে নিয়েছিলেন, যা সরকারি রেকর্ডে রয়েছে। যদিও এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে বিশ্বভারতী।