Visva Bharati University : রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে অরাজকতা : বিমান

Visva Bharati University : “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেখানেই অরাজকতা চলছে। স্বৈরাচারী কার্যকলাপ চলছে, অগণতান্ত্রিক বিধিনিষেধ আরোপ করছে।” তোপ বিমানের (CPIM Leader Biman Bose)।

Visva Bharati University : রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে অরাজকতা : বিমান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 19, 2023 | 8:08 PM

বীরভূম : ‘স্বৈরশক্তির ফ্যাসিস্তসুলভ কায়দায় বিশ্বভারতী ধ্বংসের চক্রান্ত ব্যর্থ করুন।’ এই পোস্টার নিয়েই এদিন বীরভূমের রাস্তায় নামল বামফ্রন্ট। চলল মিছিল। সিপিএম ছাড়াও সেই মিছিলে পা মেলাতে দেখা গেল বামফ্রন্টের অন্যান্য শরিকদলগুলিকেও। “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) স্বপ্নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে অরাজকতা।” প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে দেখা গেল খোদ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে। বিশ্বভারতী (Visva Bharati University) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও তুললেন আওয়াজ। প্রসঙ্গত, কখনও পৌষমেলার মাঠ নিয়ে বিতর্ক, কখনও আন্দোলনরত পড়ুয়াদের গুলি চালানোর অভিযোগ। আবার কখনও ছাত্রদের সাসপেনশন নিয়ে বিতর্ক, বারবারই বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ কাঠগড়ায় তুলেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। উপচার্যের পদত্যাগের দাবি দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে ক্যাম্পাস। 

খোদ উপাচর্যের বাসভবনের সামনে চলেছে অবস্থান বিক্ষোভ। ব্যাহত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। বিশ্বভারতীর আঁচ পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলও। এবার বামেরা এই ইস্যুতে পথে নামায় তা নতুন করে চর্চা শুরু হতে চলেছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতির আঙিনায়। সূত্রের খবর, বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যস্তরের বাম নেতারা ও জেলার নেতারা বৈঠকে বসেন। সেখানেই ঠিক হয় প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমানবসুর দাবি বিশ্বভারতীতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। খর্ব হচ্ছে ছাত্র-শিক্ষকদের স্বাধীনতা। আর এর জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেই কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

বিমান বলেন, “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেখানেই অরাজকতা চলছে। স্বৈরাচারী কার্যকলাপ চলছে, অগণতান্ত্রিক বিধিনিষেধ আরোপ করছে। ছাত্র এবং শিক্ষকদের এখানে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ নেই। প্রতিবাদ করলেই তাঁদের উপর শাস্তির বিধান দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই স্বৈরাচারী পদক্ষেপের প্রতিবাদ করছি।  শাস্তিমূলক বিধান যা জারি করেছে তা প্রত্যাহারের দাবি করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে উদ্যোগ নিতে হবে। এই দাবিও আমরা রাখছি।” প্রসঙ্গত, আর কিছুদিন পর পঞ্চায়েত ভোট। সরগরম বাংলার রাজনৈতিক ময়দান। উত্তাপ বাড়ছে ‘কেষ্ট গড়েও’। তবে কারাবন্দি রয়েছেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলের। অন্যদিকে জেলার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা নিয়ে বিগত কয়েক মাসে মাঝেমধ্যে সরব হতে দেখা গিয়েছে শাসকদলের নেতাদেরও। এমতাবস্থায় বিশ্বভারতীর প্রতিবাদে ‘লাল মিছিলে’ বামেরা ভোটের ময়দানে বাড়তি কোনও মাইলেজ পায় কি না এখন সেটাই দেখার।