Santiniketan: বিস্কুট কিনতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি শিবম, প্রতিবেশী ‘খুনি’ ভাবেননি কেউ

Santiniketan: শিবমের মৃত্যুর খবর পেতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মারমুখী জনতা তেড়ে যায় রুবি বিবির বাড়ির দিকে।

Santiniketan: বিস্কুট কিনতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি শিবম, প্রতিবেশী 'খুনি' ভাবেননি কেউ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2022 | 11:20 PM

বীরভূম: বাগুইআটির দুই কিশোরের জোড়া খুন নিয়ে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য চলছিল রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এবার ওই ঘটনারই প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল বীরভূমের শান্তিনিকেতনে। প্রাণ গেল একরত্তির। সূত্রের খবর, বাড়ির পাশের দোকান থেকে বিস্কুট কিনতে আর বাড়ি ফেরেনি  শান্তিনিকেতন থানার মোলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা শম্ভু ঠাকুরের বছর পাঁচেকের ছেলে শিবম ঠাকুর। অনেক খোঁজাখুজি করেও মেলেনি খোঁজ। পুলিশেও দায়ের হয়েছিল নিখোঁজ ডায়রি। কিন্তু, তারপরেও দেখা মিলছিল না শিবমের। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছবি দিয়ে চলছিল প্রচার। শিবমের খোঁজ পেতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন পুলিশ কর্তারা। কিন্তু, দিনের আলোর মধ্যেই কীভাবে ভ্যানিস হয়ে হয়ে শিবম তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছিলেন না কেউ। তবে এ ঘটনার নেপথ্যে যে আদপে প্রতিবেশীর হাত রয়েছে তা শুরুতে বুঝতে পারেননি কেউ। 

শিবম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই বিগত কয়েকদিন ধরে এলাকায় বেড়েছিল পুলিশের গতিবিধি। সূত্রের খবর, ঘটনার তিন দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের এক আধিকারিক শম্ভু ঠাকুরের প্রতিবেশী রুবি বিবির বাড়ি থেকে কিছুর একটা দুর্গন্ধ পান। তারপরই সন্দেহ হয় তার। এদিকে ততক্ষণে রুবি বিবির বাড়ির ছাদে মাছিও ভনভন করতে দেখেন অন্যান্য প্রতিবেশী। সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পুলিশের সামনেই এলাকার বাসিন্দারা ওই মহিলার বাড়ি ছাদে যেতেই ভেদ হয় রহস্য। ওই মহিলার বাড়ির ছাদ থেকেই উদ্ধার হয় শিবমের পচাগলা বস্তাবন্দি দেহ। কিন্তু, কেন তাকে মেরে ফেলা হল তা দিনে দানা বেঁধেছে রহস্য। 

এদিকে শিবমের মৃত্যুর খবর পেতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মারমুখী জনতা তেড়ে যায় রুবি বিবির বাড়ির দিকে। ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর পর সেখানে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে উত্তেজনার খবর ততক্ষণে এলাকায় ছুটে এসেছেন শান্তিনিকেতন, লাভপুর, ইলামবাজার ও চন্দ্রপুর থানার ওসি ও বোলপুর থানার আইসি। সঙ্গে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সূত্রের খবর, তারপরেও মারমুখী জনতাকে থামানো সম্ভব হয়নি। এরপরেই এলাকায় আসেন পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। তাঁর কাছে এলাকাবাসীরা রুবি বিবির ফাঁসিরও দাবি জানান। শেষে পুলিশ সুপারের কাছে কঠোর শাস্তির আশ্বাস পেয়ে শান্ত হন এলাকার বাসিন্দারা। তবে শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে এখনও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। গোটা ঘটনারই জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।