Breathing Problem: অজানা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত কিশোর-কিশোরীরা, আতঙ্ক সিউড়ি ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামে

অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, এক একটি মেয়ে বা ছেলে একই রোগে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন। কোন কোন পরিবারে একই পরিবারের তিন থেকে চারজন আক্রান্ত হয়েছেন এই অজানা শ্বাসকষ্টে। শ্বাসকষ্ট উঠলে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কখনও অবিনাশপুর হাসপাতাল, কখনও সিউড়ি সদর হাসপাতাল, আবার কোন কোন মেয়েকে নিয়ে যেতে হচ্ছে বর্ধমান হাসপাতালে।

Breathing Problem: অজানা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত কিশোর-কিশোরীরা, আতঙ্ক সিউড়ি ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামে
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2023 | 10:56 AM

সিউড়ি: বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত অবিনাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিশপুর, ভোলাইপুর, ক্ষতিপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা অজানা শ্বাসকষ্টের আতঙ্কে ভুগছেন। শ্বাসকষ্টে যারা আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের অধিকাংশেরই বয়স ১২ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। এবং তাঁরা অধিকাংশই মেয়ে। যদিও ওই বয়সী দু-একজন এই বয়সী ছেলেও অবশ্য আক্রান্ত হয়েছে এই শ্বাসকষ্টে। প্রায় এক মাস ধরে চলছে এই অজানা শ্বাসকষ্টের আতঙ্ক। স্থানীয়দের বক্তব্য ওই এলাকার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন বাচ্চা এভাবেই আক্রান্ত হয়েছে অজানা শ্বাসকষ্টে।

অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, এক একটি মেয়ে বা ছেলে একই রোগে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন। কোন কোন পরিবারে একই পরিবারের তিন থেকে চারজন আক্রান্ত হয়েছেন এই অজানা শ্বাসকষ্টে। শ্বাসকষ্ট উঠলে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কখনও অবিনাশপুর হাসপাতাল, কখনও সিউড়ি সদর হাসপাতাল, আবার কোন কোন মেয়েকে নিয়ে যেতে হচ্ছে বর্ধমান হাসপাতালে। কী কারনে এই ধরনের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে সে বিষয়ে কোনও ধারণা এখনও নেই তাদের। শ্বাসকষ্টের আতঙ্ক কাটাতে গ্রামে দিন কয়েক আগে পৌঁছেছিল মেডিকেল টিম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মানসিক চাপের জন্য এমনটা হতে পারে। যদিও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না এই রোগ সম্বন্ধে।

এই বিষয়ে সিউড়ি দু’নম্বর ব্লকের BMOH ফোন মারফতে জানিয়েছেন, বেশ কিছু মেয়েদের এই সমস্যা হয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাদের বিভিন্ন চেকআপ করার পর রিপোর্ট আসছে নর্ম্যাল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা এখানে চিকিৎসা করছি। পরিস্থিতি অবনতি হলে আমরা সিউড়ি সদর হাসপাতালেও পাঠাচ্ছি। অনেকে বাইরেও চিকিৎসা করাচ্ছেন। এ বিষয়ে যদিও সঠিক কী কারণে হচ্ছে এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে এই অসুবিধাটা হচ্ছে বেশি করে বাচ্চা মেয়েদের ক্ষেত্রে।