Anubrata Mondal: অনুব্রত বাহুবলী, তাঁর কাছে নাম চলে গেলে এলাকায় টিকতে দেবে না! বিস্ফোরক বিদ্যুৎ
Bidyut Chakraborty: "সুমন বলত স্যর আপনার জন্য আমি চাকরি পেলাম। আমি গান করতে পারলাম। আবার সুমন নাকি গান করে। প্রেম বিলোয়। এই তো আমাদের চরিত্র ভাই। সঙ্গীত ভবনের প্রশ্ন চুরি করে যায়। কিন্তু কিছু বলা যাবে না। যত দোষ ও দায়িত্ব ভিসি-র। দলিয়ে মেরে ফেলুক ভিসি-কে।''
বোলপুর: ফের বিতর্কে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty) । বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবনে চুরি প্রসঙ্গ নিয়ে বিস্ফোরক উপাচার্য। এবার নাম না করে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) কে ‘বাহুবলী’ বলে আখ্যা উপাচার্যের। তাঁর মন্তব্য, ‘বাহুবলীর জন্য নাকি থানায় অভিযোগ জানাতে পারছে না বিশ্বভারতী। বাহুবলীর দাপটে নিষ্ক্রিয় বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’ পাশপাশি অধ্যাপকদেরও ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান ও আধিকারিকদের নিয়ে ভার্চুয়াল মিটিং করেন উপাচার্য। সেই ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে নিশানা করে একাধিক মন্তব্য করেন তিনি। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা থানায় অভিযোগ করতে নিষেধ করে বিশ্বভারতীকে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তিনি যোগ করেন, বিশ্বভারতীর ভবন গুলিতে চুরি আটকানোর দায়িত্ব নিতে হবে ভবনগুলোকেই।
একইসঙ্গে বিশ্বভারতীর বেশ কয়েকজন অধ্যাপকের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এমনকি নির্দিষ্ট করে একজন অধ্যাপককে ‘ধান্দাবাজ’ বলেও মন্তব্য করেছেন। জানান, তাঁর চাকরি হয়েছে শুধু তিনি উপাচার্য বলেই। ঠিক কী বলেছেন বিদ্যুৎবাবু?
বৈঠকে উপাচার্যকে বলতে শোনা গিয়েছে, “বিশ্বভারতীর অধ্যাপকরা চোর, ধান্দাবাজ। সঙ্গীত ভবনে বিখ্যাত কীর্ত্তনীয়া সুমন ভট্টাচার্যর চাকরি হয়েছে আমার জন্য। তাঁকে সঙ্গীত ভবনের অন্য কোনও অধ্যাপক, অধ্যাপিকা পছন্দ করত না।” বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনে পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র চুরি প্রসঙ্গ নিয়ে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখার সময় এমনই সব বিস্ফোরক মন্তব্য করেন উপাচার্য।
ভার্চুয়াল বৈঠকে উপাচার্যকে বলতে শোনা যায়, “সুমন বলত স্যর আপনার জন্য আমি চাকরি পেলাম। আমি গান করতে পারলাম। আবার সুমন নাকি গান করে। প্রেম বিলোয়। এই তো আমাদের চরিত্র ভাই। সঙ্গীত ভবনের প্রশ্ন চুরি করে যায়। কিন্তু কিছু বলা যাবে না। যত দোষ ও দায়িত্ব ভিসি-র। দলিয়ে মেরে ফেলুক ভিসি-কে।” এর পরই অধ্যাপকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি তো বলি, তোমরা সবাই চোর। চোর তো তোমাদের মধ্যেই আছে।”
উল্লেখ্য, বিভিন্ন প্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডল বনাম বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিতণ্ডা প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে যে আন্দোলন শুররু হয় সেখানেও অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন অনেেকে। কয়েকদিন আগে উপাচার্যকে ‘পাগল’ বলে টিপ্পনী করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তাঁকে ঘেরাওয়ের। এই প্রেক্ষিতে পাল্টা অনুব্রতকে নিয়ে মন্তব্য করলেন উপাচার্যও।
যদিও উপাচার্যের এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। তাঁর প্রতিক্রিয়া পেলে আপডেট করা হবে প্রতিবেদনটি।