Anubrata Mondal: ‘নরেন মোদী একটা পাগল ভিসি পাঠিয়েছে,’ বিদ্যুৎকে পাল্টা হুঁশিয়ারি ‘বাহুবলী’ অনুব্রতর

Anubrata on Bidyut Chakrabarty: "আজ বিশ্বভারতী জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। ছাত্র, অধ্যাপকদের সাসপেন্ড করছে। এ পাগল ছাড়া হয়! খালি কলেজটা খুলতে দাও। ছাত্ররা ওঁকে বুঝিয়ে দেবে কী জিনিস।''

Anubrata Mondal: 'নরেন মোদী একটা পাগল ভিসি পাঠিয়েছে,' বিদ্যুৎকে পাল্টা হুঁশিয়ারি 'বাহুবলী' অনুব্রতর
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2021 | 6:01 PM

বোলপুর: আবারও আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণে জড়ালেন বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty) ও তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবনে চুরি প্রসঙ্গ নিয়ে উপাচার্য নাম না করে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) কে ‘বাহুবলী’ বলে আখ্যা দেন। তাঁর মন্তব্য, ‘বাহুবলীর জন্য নাকি থানায় অভিযোগ জানাতে পারছে না বিশ্বভারতী। বাহুবলীর দাপটে নিষ্ক্রিয় বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’ পাশপাশি অধ্যাপকদেরও ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। প্রত্যুত্তরে অনুব্রতের হুঁশিয়ারি, ‘সাহস থাকলে নাম করে বলুন। আমার সাহস আছে বলছি, ওঁ একটা পাগল ভিসি।’

তাঁকে বাহুবলী বলে কটাক্ষ করায় উপাচার্যকে নিয়ে অনুব্রতর প্রতিক্রিয়া, ‘আমার তো নাম করে বলেনি। আমার সাহস আছে বলছি… ওঁ একটা পাগল ভিসি।’ তার পর বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বলেন, ও একটা পাগল ভিসি। ওঁর ডিপার্টমেন্ট থেকে যে চুরিটুরি হয়েছে, সেখানে সিকিউরিটিদের কাজ করতে দেওয়া হয় না। সুতরাং আমি মনে করি, আজ বিশ্বভারতীতে যে জঞ্জালের পরিবেশ তৈরি হয়েছে… নরেন্দ্র মোদী এমন একটা লোককে পাঠাল, একটা অপদার্থ ভিসি, একটা অপদার্থ ভিসি। যার কোনও যোগ্যতা নেই।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান ও আধিকারিকদের নিয়ে ভার্চুয়াল মিটিং করেন উপাচার্য। সেই ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে নিশানা করেন একাধিক মন্তব্য করেন তিনি। উপাচার্য একজায়গায় বলেন, বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা থানায় অভিযোগ করতে নিষেধ করে বিশ্বভারতীকে। একইসঙ্গে বিশ্বভারতীর বেশ কয়েকজন অধ্যাপকের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এমনকি নির্দিষ্ট করে একজন অধ্যাপককে ‘ধান্দাবাজ’ বলেও মন্তব্য করেছেন। জানান, তাঁর চাকরি হয়েছে শুধু তিনি উপাচার্য বলেই।

এই প্রেক্ষিতে অনুব্রতর পাল্টা কটাক্ষ, “কয়েকদিন আগে ছেলেমেয়েরা অবরোধ করেছিল উপাচার্যের বাসভবন। সেখানে আমার শোনা কথা যে, তখন নাকি ওঁর বাড়ির ভেতর অশান্তি হয়েছিল। থালা-বাসন ভাঙচুর হয়ে ছিল। এর পর হাত নেড়ে নেড়ে অনুব্রত বলেন ভিসি-টা পাগল, পুরো পাগল।”

এখানেই থামেননি তিনি। বলেন, “ওঁর আমাকে বাহুবলী কোনও লাভ আছে! হিম্মত থাকে তো আমার নাম করে বলতে হবে। এর পর টেবিল চাপড়াতে চাপড়াতে অনুব্রত বলেন, আমি নাম করে বলছি বিশ্বভারতীর উপাচার্য পাগল। তাঁর জন্য রবীন্দ্রনাথকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই ভিসি আসার পর রবীন্দ্রনাথের আদর্শ শেষ হয়ে গেল। আজ বিশ্বভারতী জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। ছাত্র, অধ্যাপকদের সাসপেন্ড করছে। এ পাগল ছাড়া হয়! খালি কলেজটা খুলতে দাও। ছাত্ররা ওঁকে বুঝিয়ে দেবে কী জিনিস।”

তৃণমূল নেতা আরও যোগ করেন, “পাগলকে পাগল বলাটা কি অন্যায়? পাগল না হলে কেউ তাঁকে পাগল বলে? বলে বিশ্বভারতীতে চুরি হয়ে গিয়েছে। ও নিজে কখন কী করে জানা না। বিশ্বভারতীতে চুরিটুরি কিছু হয়নি। সব ওঁ লুকিয়ে রেখে দিয়েছে। যাওয়ার আগে সব দিয়ে যাবে।”

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: অনুব্রত বাহুবলী, তাঁর কাছে নাম চলে গেলে এলাকায় টিকতে দেবে না! বিস্ফোরক বিদ্যুৎ