Visva Bharati: বিদ্যুতের নামে থানায় অভিযোগ, বিশ্বভারতীও দিল পাল্টা চিঠি
Bolpur: শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার গত ৪ তারিখ শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। আর সেই হেরিটেজ স্থানে উপাচার্য নিজের নামের ফলক লাগিয়ে বেআইনি জবরদখলকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বোলপুর: বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট অভিযোগ দায়ের করেছিল থানায়। এবার সেই অভিযোগের পাল্টা লিখিত দেওয়া হল বিশ্বভারতীর তরফে। সোমবার চিঠি আকারে তা দেওয়া হয়েছে। শান্তিনিকেতন থানার অফিসার ইনচার্জকে লেখা চিঠিতে বিশ্বভারতী জানিয়েছে, ট্রাস্টের সম্পাদকের অভিযোগ আসলে উপাচার্য ও প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানির লক্ষ্যে করা হয়েছে।
শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার গত ৪ তারিখ শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। আর সেই হেরিটেজ স্থানে উপাচার্য নিজের নামের ফলক লাগিয়ে বেআইনি জবরদখলকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘ছলে বলে কৌশলে ট্রাস্টের সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে চাইছেন।’
এদিন বিশ্বভারতীর তরফে যে চিঠিটি থানায় পাঠানো হয়েছে, সেখানে লেখা হয়েছে, বিশ্বভারতী সম্প্রতি দু’টি ফলক বসিয়েছে। রবীন্দ্রভবনের কাছে যেখানে বসানো হয়েছে, সেই জায়গায় শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের কিছুই করার নেই। কারণ, এটি শ্যামবাটি মৌজার অন্তর্ভুক্ত। আরেকটি মন্দির/ছাতিমতলা চত্বরে বসানো। তা ট্রাস্টের জায়গায় হলেও এই নিয়ে তাদের কিছু বলার কথা নয়। তার কারণও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
সেখানে লেখা হয়েছে, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট পৌষ মেলা ও অন্যান্য অনুষ্ঠান আয়োজন করে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায়। অন্যদিকে বিশ্বভারতীরও কমপক্ষে ২০টি ভবন আছে যা ট্রাস্টের জায়গার মধ্যে পড়ে। এমনকী পাঠভবন স্কুল প্রক্রিয়া পুরোটাই শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের জায়গায় চলে। ট্রাস্টের কোনও অনুমতি নিয়ে কিছু করার চল কোনওদিনই নেই। বিশ্ববিদ্য়ালয় ও ট্রাস্টের সম্পর্কের নৈকট্যের কারণেই তা হয়। এর আগে বহু সাইনবোর্ড ট্রাস্টের জায়গায় লাগানো হয়েছে। তা নিয়ে তারা কোনওদিনই প্রশ্ন তোলেনি।