Birbhum: সামনে রোগীর ভিড়, ব্যক্তিগত কাজে চলে গেলেন চিকিৎসক, সে কাজ কী জানেন?

Birbhum: দূর দূরান্ত থেকে রোগী এসেও বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। নার্সদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। হাসপাতাল থেকেই ফোন করা হয় অভিযুক্ত চিকিৎসক জানে আলমকে। নার্সের বক্তব্য, চিকিৎসক তাঁকে জানিয়েছিলেন এখনই চলে আসবেন বলে

Birbhum:  সামনে রোগীর ভিড়, ব্যক্তিগত কাজে চলে গেলেন চিকিৎসক, সে কাজ কী জানেন?
চিকিৎসক জানে আলম...Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2023 | 1:48 PM

নলহাটি: জরুরি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জনা পঞ্চাশেক রোগী। ‘একটু আসছি’ বলে প্রায় ঘণ্টা খানেকের জন্য উধাও হয়ে গিয়েছিলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। দীর্ঘক্ষণ জরুরি বিভাগের সামনেই অপেক্ষায় থাকতে হল রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। যখন ফিরলেন, তখন বললেন, ‘একটু ব্যক্তিগত কাজ ছিল…’ কর্তব্যরত অবস্থাতেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ খালি ছেড়ে ব্যক্তিগত কাজে বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি ব্লক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। ক্ষুব্ধ রোগী, রোগীর পরিজনরা।

মঙ্গলবার সকালে নলহাটি ব্লক হাসাপাতালে জরুরি বিভাগে  কর্তব্যরত ছিলেন চিকিৎসক জানে আলম। কিন্তু  সকাল দশটার কিছু পর তিনি চেয়ার ছেড়ে চলে যান।  তাঁর দাবি, নার্সদের তিনি বলে গিয়েছিলেন একটা কাজে যাচ্ছেন বলে। ফলে সে সময়ের মধ্যে রোগীর ভিড় জমতে থাকে জরুরি বিভাগের সামনে।

দূর দূরান্ত থেকে রোগী এসেও বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। নার্সদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। হাসপাতাল থেকেই ফোন করা হয় অভিযুক্ত চিকিৎসক জানে আলমকে। নার্সের বক্তব্য, চিকিৎসক তাঁকে জানিয়েছিলেন এখনই চলে আসবেন বলে। কিন্তু তারপরও বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে যায়। ফলে ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ প্রত্যেক রোগীকে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করতে হয়।

এক রোগীর অভিযোগ, “জরুরি বিভাগে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তো কোনও ডাক্তার দেখাতে পারিনি। সকালে এসেছি। দুপুর গড়াতে চলল। বাড়ি দূরে। ফিরে যেতে হবে।” আরেক বৃদ্ধ রোগীর বক্তব্য, “বয়স হয়েছে। এভাবে হাসপাতালে এসে কী এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায়। এভাবে আমাদের ফেলে ডাক্তার গেলই বা কোথায়!”

বেশ কয়েক ঘণ্টা বাদে ফিরে আসেন চিকিৎসক জানে আলম। প্রশ্নের মুখে পড়ে বেশ কিছুটা অপ্রস্তুতে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, “আমি সিস্টারকে বলে গিয়েছিলাম। আমার একটা ব্যক্তিগত কাজ ছিল।” রোগীদের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কি এভাবে জরুরি বিভাগ ফাঁকা রেখে চিকিৎসক চলে যেতে পারেন? এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে হাসপাতাল সুপারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।