Saigal Hossain: এবার সায়গলের বোলপুরের ফ্ল্যাটে হানা সিবিআইয়ের, তবে কি নতুন কোনও তথ্যের খোঁজ?
Birbhum News: এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ তদন্তকারীরা এসে পৌঁছন বোলপুর বাইপাস সংলগ্ন এক আবাসনে।
বীরভূম: এবার সায়গল হোসেনের বীরভূমের ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গলকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার তাঁর বোলপুরের ফ্ল্যাটে হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সোমবার সেখানে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ তদন্তকারীরা এসে পৌঁছন বোলপুর বাইপাস সংলগ্ন আবাসন শাওন সুধায়। সূত্রের খবর, এই আবাসনে দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে সায়গলের। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অভিযান মূলত সায়গলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য।
এদিন বিকেলে সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক সায়গল হোসেনের ফ্ল্যাটে আসেন। সঙ্গে এক মহিলাও ছিলেন। জানা গিয়েছে, তিনি মূলত বোলপুর স্টেট ব্যাঙ্কের একজন কর্মী। যেহেতু সায়গলের পরিবারে মহিলারা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্যই বোলপুর স্টেট ব্যাঙ্ক শাখার একজন মহিলা ব্যাঙ্ক কর্মীকে আনা হয়েছে। ৩০ মিনিটের বেশি সময় পার করে চলছে অভিযান।
সায়গল হোসেন গ্রেফতার হওয়ার পরে বোলপুর বাইপাস সংলগ্ন আবাসনে তাঁর যে ফ্ল্যাট, সেখানে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, সে সময় এই ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধার হয়। তা থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পান। পরবর্তীতে সোমবার ফের অভিযান। যা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার অনুব্রতকে যেদিন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়, সেদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীরা কিন্তু বারবার বলার চেষ্টা করেছিলেন, অনুব্রতর হয়ে অন্যতম ‘মিডিয়েটর’ হিসাবে কাজ করতেন সায়গল হোসেন। গরু পাচার মামলায় যাঁর নাম ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। সেই চার্জশিটে সিবিআই উল্লেখও করেছে, সায়গল-অনুব্রত যোগ কতটা জোরাল।
এমনও সিবিআই তাদের তদন্ত জানতে পেরেছে বলে সূত্রের দাবি, গরু পাচার মামলায় যে টাকা আসত তা সায়গল হোসেনের হাত ঘুরে অনুব্রত মণ্ডল অবধি পৌঁছত। যদিও এসবই প্রমাণসাপেক্ষ। তবে এই সমস্ত তথ্যকে সামনে রেখেই এগোচ্ছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, শাওনধারা আবাসনে সায়গল হোসেনের নামে দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর মধ্যে একটি টু বিএইচকে, অন্যটি থ্রি বিএইচকে বলে জানিয়েছেন ফ্ল্যাটের কর্মীরা। এখানেও রয়েছে দু’টি গাড়ি। সূত্রের দাবি, এই দুই গাড়িও অনুব্রত মণ্ডল ব্যবহার করতেন। লালবাতি বিতর্কের আগে গাড়ি দু’টি এখানে রাখা হত বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
এমনকী, গরু পাচার মামলা শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতারাও প্রায়ই সায়গলের এই ফ্ল্যাটে আসতেন বলে সূত্রের খবর। শাওন ধারা ফ্ল্যাটের উল্টোদিকেই দশ কাঠা ঘেরা জায়গা রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই জমিও সায়গলের নামে বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে সূত্রের দাবি, বোলপুরের ৭ টি ব্যাঙ্কের শাখায় সায়গলের ১৮টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেই সংক্রান্ত তথ্য়তালাশেই এদিন শাওনধারায় সিবিআই এসে পৌঁছয় বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে ওই ব্যাঙ্কগুলিকেও সিবিআইয়ের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দাবি সূত্রের।