Child Murder Case: লকেটের পর এবার শান্তিনিকেতনে বাধার মুখে সুকান্ত, পরে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি গ্রামবাসীর
Birbhum News: সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নিহতের পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা এই ঘটনায় রাজনৈতিক কোনও হস্তক্ষেপ চান না।
বীরভূম: বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বাধার মুখে। বোলপুর শান্তিনিকেতনে পাঁচ বছরের শিশু শিবম ঠাকুরের নৃশংস খুনের ঘটনায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার সেখানে যাওয়ার সময় বাধার মুখে পড়ত হয় এই বিজেপি নেতাকে। এদিন শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রামে ঢোকার মুখে প্রথমে বাধা পান তিনি। যদিও পরে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশের অনুমতি পান। পাঁচজন সদস্যকে যাওয়ার অনুমতি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নিহতের পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা এই ঘটনায় রাজনৈতিক কোনও হস্তক্ষেপ চান না। যদিও এদিন সুকান্ত মজুমদারকে মোলডাঙায় বাধার মুখে পড়ে বলতে শোনা গিয়েছে, “এমপি, এমএলএ কোনও দলের হয় না। এমএলএ, এমপি সবার।” তবে ভিড়ে থাকা জনতা এ যুক্তি শুনতে চাননি বলেই অভিযোগ। যদিও পরে গ্রামের লোকজন জানান, পাঁচজন গ্রামের ভিতর ঢুকতে পারবেন। পরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “গ্রামবাসীরা যাতে রাজি হয়েছেন, আমরা সেটাই চাইছি।”
বুধবার মোলগ্রামে যাওয়ার মুখে বাধার মুখে পড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনার পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। শান্তিনিকেতন থানার সামনে অবস্থানে বসেন বিজেপি সাংসদ। বুধবারই লকেট জানান, “সন্ত্রাসের আঁতুরঘর করে তোলা হয়েছে বীরভূমটাকে। এখান থেকে ৮০ শতাংশ টাকা যায় শাসকদলের নেতৃত্বের কাছে। বোমাবাজির কারখানা এই বীরভূমেই আছে। গত ৮-৯ বছর ধরে দেখে আসছি বীরভূম থেকে শুধু ধোঁয়া বের হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে বিষ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এই ধরনের বিশৃঙ্খলা আগেও তৃণমূলের তরফে করানো হয়েছিল। আমরা জানতাম আজও এ ধরনের বিশৃঙ্খলা হবে। পুলিশের তো কোনও ক্ষমতাই নেই। সত্যটা যাতে বাইরে না আসে, আমরা যাতে ভিতরে যেতে না পারি, বিজেপি যাতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে না পারে, সে কারণেই বাধা দেওয়া হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, মোলডাঙার শিবম রায় বাড়ির কাছে মুদির দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর গত মঙ্গলবার পড়শি রুবি বিবির বাড়ির ছাদ থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় উত্তাল হয় রাজ্য।