Didir Doot: অনুব্রত-গড়ে বাঁশ ফেলে রাস্তা আটকানো হল বিধায়কের; ‘বলে তো কোনও কাজ হয়না’, ক্ষোভ গ্রামবাসীর
Birbhum: বিক্ষোভকারীরা জানান, দিনের পর দিন এলাকায় পানীয় জল নেই, মাটির ঘর যাঁদের, তাঁরা বাড়ি পাননি। অথচ বিধায়কের তাতে কোনও হেলদোলই নেই।
বীরভূম: গ্রামে গ্রামে গিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূল নেতারা। কখনও রাজ্যের মন্ত্রী, কখনও আবার সাংসদ, কখনও বিধায়ক, কখনও বা দলের মুখপাত্র। ‘দিদির দূত’ হয়ে গ্রামে যেতেই উপচে পড়ছে অভিযোগ। এবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সিউড়ির বিধায়ক (Siuri MLA) বিকাশ রায় চৌধুরী। গ্রামে যাওয়ার আগেই বাঁশ ফেলে রাস্তা আটকে দিলেন গ্রামবাসীরা।রবিবার ‘দিদির দূত’ হিসাবে চিনপাই পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরছিলেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। রবিবার চইনপাইয়ের এলেমা গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল বিকাশের। কিন্তু তিনি গ্রামের ঢোকার আগেই রাস্তায় বাঁশ ফেলে আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীরা জানান, দিনের পর দিন এলাকায় পানীয় জল নেই, মাটির ঘর যাঁদের, তাঁরা বাড়ি পাননি। অথচ বিধায়কের তাতে কোনও হেলদোলই নেই। তাঁদের অভিযোগ, বিধায়ক তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেবেন। তার জন্য মাপজোকও হয়েছিল। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তাই বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে রেখেছেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা শেখ সালেমন বলেন, “আমাদের অন্য জায়গা থেকে জল এনে খেতে হয়। জলের জন্য আমরা বিক্ষোভ করেছি। আর কিছুর জন্য তো আমরা বলিনি। এই আবেদন তো আমরা প্রথমবার করছি, এমন নয়। এর আগেও জলের জন্য বহুবার বলেছি। এই বিকাশ রায়কেই তো বলেছি। উনি তো লিখিতভাবে বলেছিলেন আমাদের সমস্যার সমাধান করবেন। এমনকী জায়গা পর্যন্ত দেখে গেলেন। কিন্তু কোথায় কী!”
অন্যদিকে লায়লা বিবি নামে আরেক বিক্ষোভকারীর কথায়, “আমরা দিনমজুরের কাজ করি। আমরা গরিব, আমাদের তো কিছুই নেই। সরকারের জায়গাতেই আমরা থাকি। আমাদের মাটির বাড়ি। অথচ এখনও বাড়ি পেলাম না। যাদের বাড়ি রয়েছে তাদের বাড়ি দিচ্ছে। পাকাবাড়ি, জমি থাকার পরও বাড়ি পাচ্ছে। আর আমার দিন আনা দিন খাওয়া, বাড়ি নেই। জলের সমস্যা গ্রামে গ্রামে। তারও কোনও বিহিত করেনি। এগুলো দেখুক।”
যদিও এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিকাশ রায় চৌধুরীর বক্তব্য, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তাঁর কথায়, “কয়েকদিন আগে পানীয় জলের জন্য সাব মার্সিবল বসনোও হয়। কিন্তু কোনও কারণে সেটা মানুষের পানীয়ের উপযোগী নয়। সভাপতি আমাকে বলেছিল। বলেছিলাম, গ্রাম থেকে লিখিত দিতে। সরকারি কাজ করতে গেলে এটা দরকার হয়। ৫-৭ দিন আগের কথা। ওরা আমার প্রতি আস্থা রেখেছে। আমি তো বিধায়ক, আমি তো জেলা পরিষদের সভাধিপতি। একটা সাব মার্সিবল বসানোর জন্য তো আমাকে হাজার কথা ভাবতে হবে না। আর কেউ যদি বলে ৫ বছর ধরে আমাকে বলে কাজ হয়নি, তারা বিজেপির মানুষ।”