শহিদের অন্ত্যেষ্টিতেও রাজনীতির রং, রাজ্যপাল বললেন, “গণতন্ত্রের লজ্জা, উর্দির অপমান”

TV9 বাংলা ডিজিটাল: পাক সেনার গুলিতে শহিদ হয়েছেন বাংলার ছেলে। যিনি কিনা নিজের সদ্যোজাত মেয়ের মুখটা পর্যন্ত দেখে যেতে পারেননি। নদিয়ার (Nadia) শহিদ জওয়ান সুবোধ ঘোষের (Subodh Ghosh) মৃত্যুর শোক যেন গলার কাছে দলা পাকানো কান্নার মতো! এই আবহে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী কোন্দল। রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়েও জোর বিতর্ক তৈরি হয়। শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় বিজেপি […]

শহিদের অন্ত্যেষ্টিতেও রাজনীতির রং,  রাজ্যপাল বললেন, গণতন্ত্রের লজ্জা, উর্দির অপমান
শহিদের অন্ত্যেষ্টিতেও রাজনীতির রং, রাজ্যপাল বললেন, "গণতন্ত্রের লজ্জা, উর্দির অপমান"
Follow Us:
| Updated on: Nov 17, 2020 | 7:35 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: পাক সেনার গুলিতে শহিদ হয়েছেন বাংলার ছেলে। যিনি কিনা নিজের সদ্যোজাত মেয়ের মুখটা পর্যন্ত দেখে যেতে পারেননি। নদিয়ার (Nadia) শহিদ জওয়ান সুবোধ ঘোষের (Subodh Ghosh) মৃত্যুর শোক যেন গলার কাছে দলা পাকানো কান্নার মতো! এই আবহে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী কোন্দল। রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়েও জোর বিতর্ক তৈরি হয়।

শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় বিজেপি সাংসদ (BJP MP) জগন্নাথ সরকারকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সোমবার। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে মমতা সরকারকে বেঁধেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রঘুনাথপুরের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের অভিযোগ, শনিবার রাতে তিনি যখন শহিদ সুবোধ ঘোষের বাড়িতে অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় যাচ্ছিলেন, সেখানে পুলিস (Ploice) তাঁকে ঢুকতে বাধা দেয় এবং অপমান করে।

ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। শনিবার রাতে শহিদ সুবোধ ঘোষকে দাহ করা হয় নিমতলা বিদ্যানিকেতন স্কুল গ্রাউন্ডে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার আয়োজনও করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানিয়েছেন, “জনসমক্ষেই পুলিশ আমাকে ঢুকতে বাধা দেয়। অপমান করে। ভীষণই লজ্জাজনক ঘটনা।” ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যপালের টুইট, “গণতন্ত্রের লজ্জা! এক শহিদের শেষকৃত্যে শাসকদলের সাংসদ গেস্ট আর বিরোধী সাংসদ শহিদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গেলে, তাঁকে বাধা! উর্দির অপমান।”

যদিও শাসক শিবিরের বক্তব্য, “প্রথম দিকে একটা ছোট ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে বিষয়টি মিটে যায়। বিজেপি একটা ইচ্ছাকৃতভাবে ইস্যু করছে।”শহিদের পরিবার কিংবা তাঁর প্রতিবেশীদের এসব নিয়ে মাথাব্যথা নেই। কোলের ছেলেকে হারিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এমন এক মর্মস্পর্শী বিষয়টিতেও কীভাবে লেগে যেতে পারে রাজনীতির রঙ, তাতে বিরক্ত তো বটেই, বিস্মিত তাঁরা।