উত্তরের আঁচ এবার দক্ষিণে, বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে পুলিসের বিরুদ্ধে FIR, রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে

মঙ্গলবার জেলায় জেলায় মোমবাতি মিঠিল করবেন বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থকরা। সঙ্গে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাকও দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

উত্তরের আঁচ এবার দক্ষিণে, বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে পুলিসের বিরুদ্ধে FIR, রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে
আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে কৈলাস বিজয়বর্গীয়
Follow Us:
| Updated on: Dec 07, 2020 | 7:16 PM

TV9 বাংলা: উত্তরকন্যা অভিযানে লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসের সেলে গুরুতর জখম হয়ে এক কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগে এবার পুলিসের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করার কথা ঘোষণা করলেন বিজেপিনেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (kailash vijayvargiya)। ইতিমধ্যেই সোমবার ঘটনার রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান,  নিহত কর্মীর দেহের ময়নাতদন্তের জন্য তিন চিকিত্সকের দল গঠন করার হবে। ময়নাতদন্তের সময় গোটা বিষয়টির ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে বলেও জানান তিনি। এদিন সাংবাদিকদের সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর দাবি, এদিন বিজেপি কর্মীদের ওপর পুলিস দেশি বোমাও ছুড়েছে।

আঁচ মিলেছিল সকালেই। যেভাবে কমব্যাট ফোর্স, RAF এর ব্যবস্থা রেখেছিল প্রশাসন, তাতে আন্দোলনকারীদের ‘একরোখা’ মনোভাব যে আরও দ্বিগুণ বাড়বে, তা বুঝতে পেরেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সভা থেকে শক্তি সঞ্চয় করে শুরু হয়েছিল মিছিল, আর সেই মিছিল আটকাতে, বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে একেবারে মরিয়া প্রয়াস চালিয়েছে প্রশাসনও। ধুন্ধুমার যে হবেই, তা প্রত্যাশিত ছিল। তবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলল পুলিস-আন্দোলনকারীদের ‘লড়াই’, যা কলকাতার নবান্ন অভিযানের ক্ষেত্রেও হয়নি।

সোমবার দিনভর রণক্ষেত্র জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ির ছবি দেখেছে গোটা বাংলা। বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে ক্রমাগত কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে পুলিস। ছোড়া হয়েছে রঙিন জল, চলেছে বেপরোয়া লাঠিচার্জও। পাল্টা ছোড়া হয় ইট, কাচের বোতল। বিজেপি কর্মীদের দুটি ব্যারিকেড ভাঙার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি খারাপ হয় তিনবাত্তি মোড় ও ফুলবাজার এলাকায়। কাঁদানে গ্যাসের সেলে যখন অসুস্থ হয়ে ফিরে যান কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, তখনও রুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় নিচু তলার কর্মী সমর্থকদের। শেষে এক কর্মীর মৃত্যু! এবার উত্তরের সেই বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়ল দক্ষিণেও। ঘটনার প্রতিবাদে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেও বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে।

হাওড়া

হাওড়ায় বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ

বিজেপি জেলা যুবমোর্চা সভাপতি অম্প্রকাশ মিশ্রা নেতৃত্বে হাওড়া ময়দানের ফাঁসিতলার মোড়ে অবরোধ করা হয় । বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বসে পড়েন, টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। আধ ঘন্টার অবরোধে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।

তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর

তমলুকে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ

হলদিয়া মেচেদা রাজ্যসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তমলুক, কাঁথি, এগরা-সহ বিভিন্ন এলাকায় চলে বিক্ষোভ।

পশ্চিম মেদিনীপুর

ঘাটালে পথ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। ঘাটাল পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড ও ঘাটাল চন্দ্রকোণা রাজ্য সড়কের গাছশীতলা এলাকায় চলে অবরোধ।

হুগলি

বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ

হুগলির পাণ্ডুয়ার কালনা মোড়ে জিটি রোডের ওপর বসে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে পথ অবরোধ করেন তাঁরা।

চুঁচুড়া

চুঁচুড়ার হুগলি মোড়ে জিটি রোড অবরোধ করে বিজেপির যুব মোর্চা। হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুরেশ সাউয়ের নেতৃত্বে জিটি রোড অবরোধ হয়।

কল্যাণী, নদিয়া

বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ

 

কল্যাণী ১নং মণ্ডলের আলাইপুর বেলতলাতে যুব মোর্চার কর্মীরা পথ অবরোধ করেন। এদিন নদিয়ায় বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করা হয় বিজেপি সংগঠনের পক্ষ থেকে। কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক থেকে শুরু করে শান্তিপুরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং রানাঘাটে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়।

আগামিকাল, মঙ্গলবার জেলায় জেলায় মোমবাতি মিঠিল করবেন বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থকরা। সঙ্গে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাকও দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।