Wedding Season: ‘বেঁটে, মাথায় টাক, চোখ ট্যারা’, বিয়েতে না বলতেই পাত্রীকে তুলতে এল পাত্র, শেষে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ
Wedding Season: অভিযোগ, এরইমধ্যে শনিবার রাতে মেয়েটির বাড়িতে আচমকা চলে আসে ওই যুবক। বিয়ের জন্য জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চায়। বাড়িতে তখন মায়ের সঙ্গে মেয়েটি একা। তাঁধের চিৎকারেই ছুটে আসে আশপাশের লোরজন।
কুলতলি: পাত্র বেঁটে। মাথায় আবার টাক,চোখ ট্যারা। এমনটাই দাবি মেয়ের বাড়ির লোকজনের। বিয়ে ঠিক হলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে নারাজ পাত্রী। মেয়ের বিয়ে দিতে চান না পরিবারের লোকজনও। কিন্তু, বিয়ে করতে ততক্ষণে উঠে পড়ে লেগেছে পাত্র। জেরাজুরি করে কাজ না হওয়াতে একেবারে অন্য প্ল্যান। সিনেমার কায়দায় মেয়ের বাড়িতে চলল অভিযান। মেয়েকে তুলে নিয়ে যেতে গিয়েও হল না শেষ রক্ষা। শেষে পুলিশ গ্রেফতার করল পাত্র-সহ তিনজনকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা কুলতলি থানার গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক ছাত্রীর বিয়ের জন্য বছর খানেক আগে দেখাশোনা শুরু হয়। বিয়ের কথা চলে একই থানা এলাকায়। কথাবার্তা হয় সিকিরহাট এলাকার যুবক রজনী মণ্ডলের পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু, মেয়ের বাড়ির লোকজনের শেষ পর্যন্ত রজনীর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে নারাজ। পাত্র বেঁটে,মাথায় টাক, চোখ ট্যারা এই দাবি করে বিয়েতে নারাজ পাত্রীও। কিন্তু, ততক্ষণে ওই মেয়েকেই চাই বলে মনস্থির করে ফেলেন যুবক। অভিযোগ, বিয়েতে না বলতেই মেয়েটির বাড়ির সামনে এসে আত্মহত্যার হুমকিও রজনী। রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দেবে বলেও ফোনে শাসানি দেয় বলে অভিযোগ। তারপর থেকে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটছিল মেয়ে-সহ মেয়ের বাড়ির লোকজনের। এদিকে মেয়ের বাবা আবার কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন।
অভিযোগ, এরইমধ্যে শনিবার রাতে মেয়েটির বাড়িতে আচমকা চলে আসে ওই যুবক। বিয়ের জন্য জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চায়। বাড়িতে তখন মায়ের সঙ্গে মেয়েটি একা। তাঁধের চিৎকারেই ছুটে আসে আশপাশের লোরজন। ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। খবর যায় কুলতলি থানায়। শেষে পাত্র-সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদেরকে রবিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তুলছে পুলিশ।