Thakurnagar: অভিষেক ঠাকুরনগর ছাড়তেই মতুয়াদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, হাতাহাতি হাসপাতালেও
Matua Clash: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরনগর ছাড়ার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। এবার ঠাকুর গোধন হাসপাতালেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। দু-পক্ষের সংঘর্ষে বিজেপি নেতা অশোক কীর্তনিয়া সহ অনেকেই আহত হয়েছেন।
ঠাকুরনগর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ঠাকুরনগর ছাড়ার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা (Thakurnagar)। এবার হাসপাতালেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। মমতাবালা ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ। দু-পক্ষের সংঘর্ষে বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া-সহ অনেকেই আহত হয়েছেন। খবর পেয়েই আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান মমতাবালা ঠাকুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিজেপি নেতা-কর্মী সহ বেশ কয়েকজনকে আটকও করেছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও ঘটনাস্থলে যান এবং পুলিশ তাঁকেও মারধর করেছে বলে অভিযোগ। সবমিলিয়ে, ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ঠাকুরনগর হাসপাতালে। অন্যদিকে, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
এদিন দুপুরে ঠাকুরনগরে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখানে পৌঁছনোর আগেই মতুয়াদের দু-পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ঠাকুরনগর। তারপর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হরিচাঁদ মন্দিরে ঢুকতে পারেননি। মন্দির বন্ধ ছিল। গুরুচাঁদ মন্দিরে পুজো দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের অভিযোগ, হরিচাঁদ মন্দিরে অভিষেককে পরিকল্পিতভাবে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং এটা বিজেপির চক্রান্ত। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরনগর ছাড়তেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
সংঘর্ষে প্রহৃত এক মহিলা জানান, তাঁরা কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। কিন্তু, গাড়ি থেকে নামার আগেই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। ঠাকুর গোধন হাসপাতাল চত্বরে বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলা চালানোর ছবি TV9 বাংলার ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রহৃতদের দেখতে হাসপাতালে যান মমতাবালা ঠাকুর। এই সংঘর্ষের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
যদিও তৃণমূলের সঙ্গে মিলে পুলিশ বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। পুলিশকে ‘তৃণমূলের দলদাস’ কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “পুলিশ দালালি করে আমাদের লোকেদের তুলে নিয়ে গিয়েছে। আমাকেও মেরেছে। নিরাপত্তা না দিয়ে আমার গায়ে হাত দিয়েছে।” এই ঘটনায় সরাসরি বনগাঁ থানার ওসি-কে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছেন শান্তনু ঠাকুর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরনগরে এসে পুলিশকে দিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করিয়েছে এবং আটক করিয়েছে। আর পুলিশ সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক দলের দলদাস হয়ে কাজ করেছে।”