ভোটের পর রাতে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখেন দিদি: অধীর

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, 'মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে রক্ষা পেতে চাইছে। আর বিজেপির ভাঁওতাবাজি বুঝে গিয়েছে। এ বার বিকল্পের নাম সংযুক্ত মোর্চা।' আলিপুরদুয়ার ছাড়াও নাগরাকাটা বাসস্ট্যান্ডে সংযুক্ত মোর্চার সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী সুকবির সুব্বার সমর্থনে সভা করেন অধীর। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম নেতা রামলাল মুর্মু, সি পি আই এম নেতা জিয়াউল আলম কংগ্রেস নেতা পিনাকী সেন, রাজ্য় বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ও ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

ভোটের পর রাতে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখেন দিদি: অধীর
প্রচারে অধীর, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 06, 2021 | 11:14 PM

আলিপুরদুয়ার: পাহাড়ে নিজেদের জমি শক্ত করতে মরিয়া বাম-কংগ্রেস। মঙ্গলবার, যখন উত্তরবঙ্গে ঝড় তুলছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তখন, সেই মাটিতে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাক্যবাণে নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chaudhury)।

মঙ্গলবার, আলিপুরদুয়ারে, নবীন ক্লাবের মাঠের জনসভা থেকে বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলকে (TMC) একযোগে কটাক্ষ করলেন অধীর। ‘মমতা আর বাংলার অগ্নিকন্যা নেই। তাঁর কথায় আর আগুন বের হয় না। একদিন দিদি যাঁকে বিজেপির দালাল বলেছিলেন, আজ সেই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।’ প্রসঙ্গত, বঙ্গভোটের ‘এপিসেন্টার’ নন্দীগ্রামে (Nandigram) সন্ত্রাসের ভোট হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, বয়লাকাণ্ডে তৃণমূল সুপ্রিমো বুথ বন্দি হয়ে থাকার পরেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফোন করে অভিযোগ জানান মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার সেই ফোনালাপের প্রসঙ্গ টেনেই অধীর আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের দলের উপর, বিধায়কদের উপর কোনও আস্থা নেই। সেইজন্যেই এখন রাজ্যপালকে দরকার। সারাদিন ভোট শেষের পর রাতে ম্যাডামকে (সনিয়া গান্ধী) চিঠি লিখতে হয় দিদির। চিঠিতে এমনও লিখতে হয়, ‘জিততে গেলে আপনাদের সহযোগিতা দরকার।'”

শুধুমাত্র তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমোই অবশ্য এ দিন অধীরের নিশানায় ছিলেন এমন নয়, বিজেপিকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করান বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। গেরুয়া শিবিরের ডবল ইঞ্জিন সরকারের তুলোধনা করে এদিন তিনি বলেন, ‘যেখানে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি, সেখানেই বিভ্রান্ত মানুষ। প্রতিবেশী ত্রিপুরাকে দিয়ে বিচার করুন। সেখানেও ভোটের আগে সরকারি কর্মচারিদের মন জয় করার জন্য সপ্তম পে কমিশন চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন পর্যন্ত চার বছর পার হয়ে গেছে কিন্তু সপ্তম পে কমিশন চালু করে নি। আগে আমরা একশো দিনের কাজ ত্রিপুড়ার মানুষকে ৮০/৯০ দিন দিতাম। এখন মাত্র ৩৫ দিন দিচ্ছে বিজেপি সরকার। তাও ১০০ দিনের কাজের টাকা তুলতে গেলে অর্ধেক টাকা বিজেপি নেতারা ছিনিয়ে নিচ্ছে। না দিলে ভবিষ্যতে কাজ দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিচ্ছে বিজেপি।সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি। তাই বলছি কোন দোদুল্যতা নয়, সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।’

পরিশেষে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে রক্ষা পেতে চাইছে। আর বিজেপির ভাঁওতাবাজি বুঝে গিয়েছে। এ বার বিকল্পের নাম সংযুক্ত মোর্চা।’ আলিপুরদুয়ার ছাড়াও নাগরাকাটা বাসস্ট্যান্ডে সংযুক্ত মোর্চার সমর্থিত কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী সুকবির সুব্বার সমর্থনে সভা করেন অধীর। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম নেতা রামলাল মুর্মু, সি পি আই এম নেতা জিয়াউল আলম কংগ্রেস নেতা পিনাকী সেন, রাজ্য় বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ও ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

আরও পড়ুন: দিদি-ই দিদি-ই বলে আমায় ভ্যাঙানো! নিশ্চয়ই আমার মধ্যে কিছু না কিছু আছে, তাই তো ভ্য়াঙাচ্ছে: মমতা