ভাল খবর; নিরানব্বইয়ের দিদার চোখ রাঙানিতে হার মানল করোনা, খুশির হাওয়া কোচবিহার হাসপাতালে

এর আগে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, ওড়িশাতেও এমন দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। মনের অদম্য সাহস আর চিকিৎসকদের চেষ্টায় করোনাকে (COVID-19) হারিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন অশীতিপর, নবতিপর, শতায়ুরা।

ভাল খবর; নিরানব্বইয়ের দিদার চোখ রাঙানিতে হার মানল করোনা, খুশির হাওয়া কোচবিহার হাসপাতালে
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 21, 2021 | 8:53 PM

কোচবিহার: পরণে সাদা ম্যাক্সি, মাথায় ক্যাপ, মুখে মাস্ক। হুইল চেয়ারে বসেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এলেন ৯৯ বছরের কোভিড-বিজয়িনী। টানা কয়েকদিনের ধকলে শরীর কিছুটা ক্লান্ত বটে। তবু করোনাকে হারিয়ে জয়ের আনন্দে বেশ খুশি খুশি এই নবতিপর। বাড়ি ফিরছেন প্রায় এক মাস পর। তাঁকে এগিয়ে দিতে হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে এলেন ডাক্তার-নার্সরাও। শুক্রবার কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সাক্ষী রইল সেই আনন্দ-মুহূর্তের।

করোনা চিকিৎসায় রীতিমত দৃষ্টান্ত স্থাপন হল কোচবিহারে। কোচবিহার শহর সংলগ্ন খাগরাবাড়ির বাসিন্দা আরতি ভট্টাচার্য। বয়স ৯৯। গত মাসের শেষের দিকে তাঁর করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। কোভিড পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এদিকে আরতিদেবী ডায়াবেটিক। তাঁর হার্টেরও সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়াও বয়সজনিত সমস্যাও আছে। এই অবস্থায় বাড়ির লোকজন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করান।

আরও পড়ুন: এখনও মাস্ক পরেন না ৫০ শতাংশ মানুষ, সচেতনতাকে গোল্লায় পাঠিয়ে অন্যকেও বিপদে ফেলছেন আপনি!

গত ২৯ এপ্রিল কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আরতি ভট্টাচার্যকে। ২২ দিন দিন-রাত লড়াই করেছেন অতিমারির বিরুদ্ধে। ডাক্তার-চিকিৎসকরা তো পাশে থেকেছেনই, তবে আরতিদেবীর মনোবলই এই লড়াইয়ের শক্তি। যৌথ লড়াইয়ে অবশেষে কাবু করা গিয়েছে করোনাকে। কোভিড-১৯কে হারিয়ে শুক্রবারই বাড়ি ফিরেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: মানবতাই সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম, মৃত্যু পথযাত্রী মুসলিম কোভিড রোগীর কানে কলমা পড়ে শোনালেন হিন্দু চিকিৎসক

এর আগে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, ওড়িশাতেও এমন দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। মনের অদম্য সাহস আর চিকিৎসকদের চেষ্টায় করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন অশীতিপর, নবতিপর, শতায়ুরা। এই কঠিন সময়ে তাঁরাই তো শক্তি। তাঁদের দেখে চিকিৎসক-নার্স থেকে অন্য রোগী কিংবা রোগীর প্রিয়জনরা সাহস পাচ্ছেন। বহু খারাপের মধ্যেও এই মানুষগুলোর ভাল হওয়ার খবর যেন এক মুঠো টাটকা প্রাণবায়ু।