John Barla: নিশীথ প্রামাণিকের পর এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা
John Barla: কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমা দায়রা আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছিল জন বার্লার বিরুদ্ধে।
কোচবিহার : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের পর এবার কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু দফতরের প্রতিমন্ত্রী জন বর্লার বিরুদ্ধেও জারি হল গ্রেফতারি পরোয়ানা। বৃহস্পতিবারই কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমা দায়রা আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছিল জন বার্লার (John Barla) বিরুদ্ধে। সেই মামলায় বাকিদের জামিন দেওয়া হলেও, জামিন পাননি জন বার্লা। সম্প্রতি তাঁকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠায় আদালত। তারপরও তিনি বা তাঁর আইনজীবী হাজির হননি। এবার জারি হল গ্রেফতারি পরোয়ানা। কয়েকদিন আগেই একটি পুরনো মামলায় নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ২০০৮-২০০৯ সালের সেই মামলা চলাকালীনই সাংসদ হয়ে যান তিনি। সেই মামলাতেই পরোয়ানা জারি হয়েছে।
জন বার্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় নির্বাচনী বিধি লাগু থাকলেও বিডিও অফিস চত্বরে পথসভা করেছিলেন তৎকালীন লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা ও তাঁর দলের কর্মী সমর্থকেরা। সেই পথসভার অনুমতি না থাকায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে বক্সিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক।
মামলায় জন বার্লা সহ মোট চারজনের নাম ছিল। বাকি তিনজন ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবারের মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্যে সমন পাঠায় আদালত। এবার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল তুফানগঞ্জ মহকুমা দায়রা আদালত।
তবে নিশীথের ক্ষেত্রে মামলাটি ছিল আলাদা। ২০০৯ সালে একটি সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেই মামলায় নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আলিপুরদুয়ার আদালত। নিশীথের আইনজীবী জানান, ২০০৮-২০০৯ সালে ওই মামলা হয়েছিল। সেই সময় ওই মামলায় নিশীথ জামিন নিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে সেই মামলাটি চলতে থাকে। মামলা চলাকালীন নিশীথ প্রামাণিক সাংসদ হয়ে যান। তিনি আরও জানিয়েছেন,হাজিরার নির্দেশ দেওয়ার পরই আদালতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই সময় বিচারক ছিলেন না।
এই প্রসঙ্গে জন বার্লা বলেন, ‘আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি।’ তাঁর দাবি, তাঁর কোনও ভুল ছিল না। সাংসদ জানান, তাঁকে এর আগে ৪৫ দিন জেল খাটতে হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।