‘কেন্দ্রীয় নেতাদের বোঝাব’, দিলীপ ঘোষের ফোনের পরও উত্তরবঙ্গ নিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় বার্লা
কোচবিহার: ‘কেন্দ্রীয়শাসিত উত্তরবঙ্গ’ আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লার (John Barla) বিতর্কিত দাবির প্রতিবাদে দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল। এফআইআর জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাকারিয়া হোসেন। তাঁর বক্তব্য, বার্লার দাবি কার্যত এলাকায় অশান্তির বীজবপন করেছে। উত্তরবঙ্গ নিয়ে বার্লার দাবি ভিত্তিহীন। কিছুদিন আগেই কেন্দ্র শাসিত উত্তরবঙ্গ কিংবা একেবারে বিচ্ছিন্ন উত্তরবঙ্গের দাবিতে সরব হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ […]
কোচবিহার: ‘কেন্দ্রীয়শাসিত উত্তরবঙ্গ’ আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লার (John Barla) বিতর্কিত দাবির প্রতিবাদে দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল। এফআইআর জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাকারিয়া হোসেন। তাঁর বক্তব্য, বার্লার দাবি কার্যত এলাকায় অশান্তির বীজবপন করেছে। উত্তরবঙ্গ নিয়ে বার্লার দাবি ভিত্তিহীন।
কিছুদিন আগেই কেন্দ্র শাসিত উত্তরবঙ্গ কিংবা একেবারে বিচ্ছিন্ন উত্তরবঙ্গের দাবিতে সরব হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। এই মন্তব্যে বঙ্গ রাজনীতিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক চাপানউতোর। অস্বস্তিতে পদ্ম শিবিরও। আলিপুরদুয়ারেই বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সোমবারই সেখানকার বিজেপি সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দান করছেন।
এর প্রেক্ষিতে জন বার্লার বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক মন্তব্য ও বাংলা ভাগের ছকের অভিযোগ তুলে থানার দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। কোচবিহারের দিনহাটা ও কোতোয়ালি থানায় দুটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। রাজনৈতিক চাপানউতোরের পাশাপাশি বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর-এর গুরুত্বও যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে অভিযোগকারী জাকারিয়া হোসেনের বক্তব্য, “জন বার্লা একের পর এক উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়-প্রত্যেক মাধ্যমেই অশান্তির বীজ বপন করেছেন। এ সব কারণে আজ যদি পশ্চিমবঙ্গ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তার সম্পূর্ণ দায় জন বার্লার। তাঁর বিচ্ছিন্নতাবাদী কথাবার্তা বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না। তাঁর বিরুদ্ধে যেন সঠিক পদক্ষেপ করা হয়।” তাই প্রশাসনিক ও আইনি সব ব্যবস্থা যাতে নেওয়া হয়, তার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
জন বার্লার মন্তব্য এখন পদ্ম শিবিরে কাঁটা! চরম অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি শিবিরও। এরই মধ্যে জন বার্লার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে দিলীপ ঘোষের ফোনের পরও উত্তরবঙ্গ নিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় সাংসদ জন বার্লা। তাঁর দাবি, উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগকে প্রাধান্য দিতে হবে। উত্তরবঙ্গের মানুষ যাতে সমস্ত রকম সুযোগসুবিধা পান, তার জন্যই এই দাবি বলে পাল্টা মন্তব্য তাঁর।
আরও পড়ুন: এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালতের পথে শুভেন্দু, হাতিয়ার ‘মিথ্যা মামলা’
বিজেপি সাংসদ জন বার্লা বলেন, “আমি এই নিয়ে আর কোনও কথা বলতে চাই না। আমি আগামীদিনে রাজ্য নেতাদের বোঝাব। রাজ্য কেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কথা বলব। এটা উত্তরবঙ্গের আবেগের কথা। এটা আমি কেন্দ্রের কাছে রাখব। নিশ্চয়ই কেন্দ্রীয় নেতারা বুঝবেন। পৃথক রাজ্য হলে উত্তরবঙ্গে শান্তি ফিরবে, উন্নয়ন হবে।”