Coochbehar: বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার সামগ্রী হস্টেলে নিতে চেয়ে ছাত্রবিক্ষোভ পঞ্চানন বর্মায়
Coochbehar: দুলাল হক বলেন, "ছাত্র ছাত্রীদের এটা তো অধিকার। স্পোর্টস হলে ছেলে মেয়েরা তো প্র্যাক্টিস করবে, তারপর মাঠে নামবে। কিন্তু এখানে কর্তৃপক্ষ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে এখন বলছে খেলা যেদিন হবে সেদিন এসব ইক্যুইপমেন্ট ব্যবহার করতে দেবে। কেন? কিন্তু লিখিত দিয়ে চাওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের তরফে।"

কোচবিহার: পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা। খেলার নানারকম ইক্যুইপমেন্ট বা সামগ্রী রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, সেইসব সামগ্রী তাঁরা ব্যবহার করার সুযোগ পান না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা ব্যবহারের সুযোগ দেয় না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন উত্তেজনা ছড়ায় ক্যাম্পাসে। যদিও রেজিস্ট্রারের বক্তব্য, এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও জিনিস হস্তান্তর করা যায় না। এ দাবি ন্যায্য নয়।
এদিন তৃণমূলের ছাত্রনেতারাও বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ এলে তাদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উস্কে দেন তাঁরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এখানকার শাখার জেনারেল সেক্রেটারি দুলাল হক বলেন, “ছাত্র ছাত্রীদের এটা তো অধিকার। স্পোর্টস হলে ছেলে মেয়েরা তো প্র্যাক্টিস করবে, তারপর মাঠে নামবে। কিন্তু এখানে কর্তৃপক্ষ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে এখন বলছে খেলা যেদিন হবে সেদিন এসব ইক্যুইপমেন্ট ব্যবহার করতে দেবে। কেন? কিন্তু লিখিত দিয়ে চাওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের তরফে।”
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সফিলি বলেন, “জিমের জিনিসপত্র ব্যবহার হচ্ছে না বলে ওরা বলছিল সেগুলি হস্টেলে নিয়ে যাবে। কিন্তু তা তো হয় না। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনিস। হস্টেলের জন্য নয়। এরপর ওরা ওদের মতো করে বের করেছে। আন্দোলন নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমি একক সিদ্ধান্ত নিতে পারি না এটা নিয়ে। আর লিখিত দেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু লিখিত দিলে সঙ্গে সঙ্গে তো হয়ে যাবে না। আলোচনার একটা জায়গা তো দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য যা, তা হস্টেলের পড়ুয়ারা শুধু ব্যবহার করবে, সেটা কি ঠিক?”





