Subiresh Bhattacharya: একই পরিবারের ৭-৮ জনকে চাকরি! বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিতেও সুবীরেশের নাম?

North Bengal Agricultural University: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সুবীরেশকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও।

Subiresh Bhattacharya: একই পরিবারের ৭-৮ জনকে চাকরি! বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিতেও সুবীরেশের নাম?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2022 | 5:49 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর আমলে নিয়োগে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছে সিবিআই। এরই মধ্যে আরও অভিযোগ সামনে এল সুবীরেশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিয়ারিং কমিটিতে ছিলেন সুবীরেশ। আর সেই পদে থাকাকালীনই একাধিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই অধ্যাপক।

অধ্যাপক সুবিনয় সাহা রায়ের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী পদে বহু নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলেন সুবীরেশ। অভিযোগ, একই পরিবারের ৭ থেকে ৮ জনও চাকরি পেয়েছেন। অধ্যাপকের দাবি, একই পরিবারের এতজন সদস্য একটাই সংস্থায় চাকরি করে, এমন নজির বোধ হয় আর নেই। একাধিক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে স্টিয়ারিং কমিটির সুপারিশ ছিল, সেই তথ্য ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে।

অধ্যাপক জানিয়েছেন, বেনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সরব হওয়ায় তাঁকে কিছুদিন আগেই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁকে শোকজ নোটিস পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আইনজীবী রাজু রায়ের দাবি, নিয়োগ কমিটির সদস্য ছিলেন সুবীরেশ। তাঁর আরও দাবি, এসএসসি নিয়োগ নিয়ে যে তদন্ত সিবিআই করছে, তার সঙ্গেই যুক্ত করতে হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ দুর্নীতিকেও।

তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অভিযোগ এই প্রথম নয়। সংরক্ষিত পদ নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। তফশিলি জাতি বা উপজাতির প্রার্থীদের জন্য যে সব পদ সংরক্ষিত থাকে, সেই পদে নিয়ম ভেঙে জেনারেল প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালে এসসি পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও সেই প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়নি বলেও দাবি করেছেন অধ্যাপকদের একাংশ। আর নিয়োগের পরে নাকি সেই নিয়ম বদলে ওই পদে জেনারেলে রূপান্তরিত করা হয়। ডিন নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছিল বলে অভিযোগ।