ক্রমবর্ধমান করোনা, টান টিকায়! বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একাধিক টিকাকরণ কেন্দ্র
উল্লেখ্য়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, বড় রাজ্যগুলিতে চার দিনে ও ছোট রাজ্যে সাত থেকে আট দিনে ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে। ভ্যাকসিন এর অভাব নেই। কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে তার জন্য ভালো পরিকল্পনা করবে সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ: ক্রমবর্ধমান করোনা। সংক্রমণে রাশ টানতে পারেনি কেন্দ্র ও রাজ্য। করোনা টিকাপ্রদানের (Vaccination) কর্মসূচি জোরকদমে চললেও রাজ্যের হালে পানি ফেরেনি। এর মধ্য়েই টিকাভাণ্ডারে পড়েছে টান। যার জেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একাধিক টিকাকরণ কেন্দ্র। উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলির (Hooghly) বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ কেন্দ্র। গত মঙ্গলবারই, পর্যাপ্ত টিকা না থাকায়, টিকাকরণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে পোলবা ব্লক হাসপাতাল। এ বার, টিকাকরণ বন্ধের নোটিস দিল তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতাল। বুধবার সকালে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রদত্ত নোটিসে বলা হয়, ১৪ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি ও ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বন্ধ থাকবে টিকাকরণ। শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল থেকে পুনরায় চালু করা হবে কোভিড টিকা প্রদানের (COVID-19 Vaccination) কর্মসূচি। আচমকা নোটিসে কার্যত সমস্যায় পড়েছেন টিকাপ্রাপকরা। তবে, এ নিয়ে বিশেষ মুখ খোলেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, টিকার কোনও ঘাটতি আছে কি না তাও জানা যায়নি।
এ দিন প্রায় একই ছবি দেখা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত জেলা হাসপাতালে। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার টিকাকরণ বন্ধ থাকবে বলে নোটিস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে, টিকা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। হাসপাতালের এই নির্দেশে কার্যত ক্ষুব্ধ টিকাপ্রাপকরা। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন জানতেন টিকার পরিমাণ কম আছে, তখন কেন প্রথম থেকেই যথাযথ নির্দেশ দেওয়া হয়নি! সাধারণত, টিকাপ্রাপকদের কো-উইন পোর্টালে (CoWIN portal) নাম রেজিস্টার করার পর প্রাপক তাঁর সুবিধামতো এলাকা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্বাচন করে টিকাপ্রাপ্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে পারেন। বারাসাতে যাঁরা টিকাকরণ করতে গিয়েছিলেন, ভ্যাকসিন (COVID-19 Vaccine) না থাকায় অনেকেই ফিরে আসতে বাধ্য হন। ফলে, টিকার প্রথম ডোজটি সময়ে পাননি অনেকেই। এরফলে দ্বিতীয় দফার ডোজ নিতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন টিকাপ্রাপকরা এমনটাই মনে করছেন তাঁরা। আবার অনেকেই হয়ত প্রথম দফার ডোজ পেয়েছেন, দ্বিতীয় দফার ডোজ নিতে এসে ফিরে গিয়েছেন। এই নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ প্রাপকরা।
উল্লেখ্য়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, বড় রাজ্যগুলিতে চার দিনে ও ছোট রাজ্যে সাত থেকে আট দিনে ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে। ভ্যাকসিন এর অভাব নেই। কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে তার জন্য ভালো পরিকল্পনা করবে সরকার। প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৮১৭জন। মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ২ হাজার ৫১৯ জন। যার ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ২৯ হাজার ৫০ জন।
আরও পড়ুন: হেঁটে হেঁটে হাসপাতালে এলেন করোনা রোগী! পিপিইকিট পরে চায়ের দোকানে ভোজন সারলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক!