স্টোরে নেই ভ্যাকসিন! পোলবা ব্লক হাসপাতালে ঝুলল নোটিস, নীরব কর্তৃপক্ষ

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মাত্র ২২ জন টিকা পাওয়ার পরেই শেষ হয়ে যায় ভ্যাকসিন (Vaccine)। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, স্টোরে টিকার স্টক শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ করা হচ্ছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। পুনরায় স্টোর করার পর আগামী বৃহস্পতিবার থেকেই ফের টিকাকরণ শুরু হবে।

স্টোরে নেই ভ্যাকসিন! পোলবা ব্লক হাসপাতালে ঝুলল নোটিস, নীরব কর্তৃপক্ষ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 13, 2021 | 6:29 PM

হুগলি: রাজ্যে বেলাগাম করোনা। একদিকে যেমন বাড়ছে সংক্রমণ, তেমন অন্যদিকে বাড়ছে টিকা (Vaccine) নেওয়ার দৌড়। মুহুর্মুহু সংক্রমণ বৃদ্ধিতে কপালে ভাঁজ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। এই পরিস্থিতিতে স্টোরে ভ্যাকসিনের অভাবে নোটিস ঝুলল পোলবা ব্লক হাসপাতালে।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মাত্র ২২ জন টিকা পাওয়ার পরেই শেষ হয়ে যায় ভ্যাকসিন (Vaccine)। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, স্টোরে টিকার স্টক শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ করা হচ্ছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। পুনরায় স্টোর করার পর আগামী বৃহস্পতিবার থেকেই ফের টিকাকরণ শুরু হবে। হাসপাতালের এই  নির্দেশে কার্যত ক্ষুব্ধ টিকাপ্রাপকরা। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন জানতেন টিকার পরিমাণ কম আছে, তখন কেন প্রথম থেকেই যথাযথ নির্দেশ দেওয়া হয়নি! সাধারণত, টিকাপ্রাপকদের কো-উইন পোর্টালে (CoWIN portal) নাম রেজিস্টার করার পর প্রাপক তাঁর সুবিধামতো এলাকা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্বাচন করে টিকাপ্রাপ্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে পারেন। পোলবাতে যাঁরা টিকাকরণ করতে গিয়েছিলেন, ভ্যাকসিন না থাকায় অনেকেই ফিরে আসতে বাধ্য হন। ফলে, টিকার প্রথম ডোজটি সময়ে পাননি অনেকেই। এরফলে দ্বিতীয় দফার ডোজ নিতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন টিকাপ্রাপকরা এমনটাই মনে করছেন তাঁরা। আবার অনেকেই হয়ত প্রথম দফার ডোজ পেয়েছেন, দ্বিতীয় দফার ডোজ নিতে এসে ফিরে গিয়েছেন। এই নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ প্রাপকরা।

যদিও এই ঘটনায় কেবল একটি লিখিত নোটিস দিয়েই ক্ষান্ত হয়েছেন পোলবা স্বাস্থ্য়কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ। ব্লক মেডিক্যালে অফিসার শাউলি কোনার সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, শুধু, বাংলায় নয়, মহারাষ্ট্রেও চাহিদা অনুযায়ী, ভ্যাকসিনের জোগান না থাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক ভ্যাকসিন (Vaccination) সেন্টার। যদিও, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, বড় রাজ্যগুলিতে চার দিনে ও ছোট রাজ্যে সাত থেকে আট দিনে ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে। ভ্যাকসিন এর অভাব নেই। কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে তার জন্য ভালো পরিকল্পনা করবে সরকার।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছেন ১,৬১,৭৩৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮৭৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজারেরও বেশি। অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, পঞ্জাবে দৈনিক আক্রান্ত তিন থেকে সাড়ে তিন হাজারের আশপাশে। ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড এবং ওড়িশাতেও দৈনিক আক্রান্ত গত কয়েকদিনে বেড়েছে। হিমাচল প্রদেশ, গোয়াতেও ৫০০-র আশপাশে রয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে টিকা নিয়েছেন ২৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪১৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ১০ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৬৫ কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

ভোট আবহে রাজনৈতিক কর্মসূচি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অবাধ জমায়েতে লাগাম টানার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে নয়। একই পরিস্থিতি অনান্য রাজ্যগুলিতেও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল বলেছেন, “আমি লকডাউন করতে চাই না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বড় হাসপাতালগুলির সঙ্গে ভ্যাকেন্ট হল একযোগে ব্যবহার করা হবে। সাধারণ উপসর্গ আক্রান্তদের ভ্যাকেন্ট হলে ও গুরুতর রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে রাখা হবে।”

আরও পড়ুন: হেঁটে হেঁটে হাসপাতালে এলেন করোনা রোগী! পিপিইকিট পরে চায়ের দোকানে ভোজন সারলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক!