করোনা আতঙ্কে আত্মীয়দের দরজায় খিল, ১২ ঘণ্টা বাড়িতে পড়ে শিক্ষিকার মৃতদেহ!
এ বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকুমার দে জানান, এদিন সকালে বিষয়টি তিনি ফোন মারফত জানতে পারেন। ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা বয়সজনিত অসুখে মারা গিয়েছেন। মৃতার করোনা ছিল না বলে জানান তিনি।
বালুরঘাট: করোনা (Corona) আতঙ্কে আত্মীয়-প্রতিবেশীরা দরজায় খিল দিয়েছেন। তাই অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষিকার মৃতদেহ ঘরে পড়ে রইল প্রায় ১২ ঘণ্টা। অবশেষে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) কর্মীরা তাঁর দেহ উদ্ধার করে পাঠালেন ময়নাতদন্তে। শুক্রবার সকালে এমনই অমানবিক চিত্র ধরা পড়ল বালুরঘাট শহরের দিপালী নগর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকার নাম সংযুক্তা বসু। খাদিমপুর গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা সংযুক্তা দেবী বছর ছয়েক আগে চাকরি থেকে অবসর নেন। স্বামী গত হয়েছেন অনেকদিন হল। বাড়িতে এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন সংযুক্তা দেবী। তবে ছেলে মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে নানা বয়সজনিত অসুখে ভুগছিলেন ওই শিক্ষিকা। সুগার, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি সমস্যা ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় করোনা আতঙ্ক ছড়ায়। দূরে থাকা পরিবারের অন্যান্য সদস্য থেকে প্রতিবেশী, কেউই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেননি। বাড়িতেই মৃতদেহ পড়ে থাকে প্রায় ১২ ঘণ্টা। পরে শুক্রবার এই বিষয়টি জানতে পেরে বালুরঘাটের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা এগিয়ে আসেন। তাঁরাই মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকুমার দে জানান, এদিন সকালে বিষয়টি তিনি ফোন মারফত জানতে পারেন। ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা বয়সজনিত অসুখে মারা গিয়েছেন। তাঁর করোনা ছিল না বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, করোনা আবহে যে কোনও মৃত্যুই এখন কোভিড ঘটিত কিনা তা নিয়ে সন্দেহ করছেন প্রতিবেশীরা। এই পরিস্থিতিতে বালুরঘাটের মতো বিভিন্ন জায়গাতেই অমানবিক ঘটনার কথা উঠে আসছে।