Picnic : মাঝরাতে ক্লাবের পিকনিকে তারস্বরে বাজছে DJ, আচমকা কাউন্সিলরের বাড়ির গেটে লাথি, তারপর…

Balurghat : “আমরা রাতে তখন খেতে বসেছিলাম। আচমকা চিৎকার-চেঁচামেচি শুনি। পরে বাইরে এসে দেখি আমার বাড়ির গেট লাথি মেরে ভেঙে দিয়েছে। তাতেই আমরা খুব ভয় পেয়ে যাই।” বললেন বালুরঘাট (Balurghat) শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের স্বামী পামির দাস।

Picnic : মাঝরাতে ক্লাবের পিকনিকে তারস্বরে বাজছে DJ, আচমকা কাউন্সিলরের বাড়ির গেটে লাথি, তারপর...
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 14, 2023 | 8:56 PM

বালুরঘাট : গভীর রাত পর্যন্ত পাড়ার ক্লাবে তারস্বরে বাজছিল গান। চলছিল পিকনিক (Picnic)। স্থানীয় বাসিন্দা সহ এলাকার কাউন্সিলরের অভিযোগ, একদিন নয়, দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে এই ঘটনা। প্রতিবাদ করলে ক্লাবের ছেলেরা বলে ‘ফ্যামেলি পিকনিক’ চলছে। শুক্রবার রাতেও ঘটেছিল একই ঘটনা। এসেছিল পুলিশও। এদিকে সেই সময় বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে খেতে বসেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর অনুশ্রী মহন্ত। অভিযোগ, তখনই আচমকা তাঁর বাড়ির গেটে লাথি মারতে থাকে একদল যুবক। চলতে থাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। শুক্রবার গভীর রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাট (Balurghat) শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ডাকরায়। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই শনিবার বালুরঘাট থানায় এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত কাউন্সিলর অনুশ্রী মহন্ত। শনিবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার, বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক কুমার মিত্রও বালুরঘাট থানায় যান। এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত রয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

কাউন্সিলর অনুশ্রী মহন্তের দাবি ক্লাবটি চলে সরকারের অনুদানে। অথচ ক্লাবের সদস্যরা সরকারের নিয়মই মানতে চাইছেন না। হুমকি দেওয়া হচ্ছে সরকারি প্রতিনিধিকে। ঘটনা প্রসঙ্গে কাউন্সিলর অনুশ্রী মহন্ত বলেন, “এই অগ্রদূত ক্লাব আগে আমাদের মহিলাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ওরা জোর করে নিজেদের দখলে নিয়ে আসে। এখানে বাইরে থেকে কিছু ছেলে আসে। সঙ্গে লোকাল ছেলেরাও থাকে। তারা সকলে মিলেই এখানে নানারকম অসামাজিক কাজকর্ম করে। যাঁরা প্রতিবাদ করেছে তাঁদের উপরেই হামলা হয়েছে। রাতে এখানে পুলিশ আসে। ক্লাবের ছেলেরা ভাবে আমি পুলিশ ডেকেছি। তখনই আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী পুলিশকেও দেখে নেওয়ার কথা বলে। এই ক্লাবটা আবার আমাদের সরকারের অনুদানে চলে। আমি কখনও ওইভাবে প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু এখানকার আশেপাশের লোকজন অনেকবারই আমাকে বলেছেন ব্যাপারটা দেখতে। কালকের এ ঘটনার পর আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।”  

ঘটনা প্রসঙ্গে কাউন্সিলরের স্বামী পামির দাস বলেন, “আমরা রাতে তখন খেতে বসেছিলাম। আচমকা চিৎকার-চেঁচামেচি শুনি। পরে বাইরে এসে দেখি আমার বাড়ির গেট লাথি মেরে ভেঙে দিয়েছে। তাতেই আমরা খুব ভয় পেয়ে যাই। ওরা অনেকেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। গালিগালাজ করতে থাকে। কাউন্সিলরের দিকেও অশালীন ইঙ্গিত করতে থাকে। আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় আমার সামনে যে ক্লাব আছে সেখানকার কিছু সদস্য ও বাইরের কিছু ছেলেই আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। পুলিশ এলে বলছে ফ্যামিলি পিকনিক করছি। কিন্তু, কোথাও কখনও রাত সাড়ে ১২টা-১টা পর্যন্ত ফ্যামিলি পিকনিক হতে পারে না।” শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।