AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Balurghat: শরীরের তুলনায় মাথা বড় চতুর্গুণ, উচ্চ মাধ্যমিকে ৯২ শতাংশ পেয়ে পায়েলের রুগ্ন হাত স্পর্শ করল আকাশ

Balurghat: মেয়েকে কলেজ পর্যন্ত পড়াবেন কীভাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তার বাবা মা। কারণ মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়েই ঋণে জর্জরিত হয়ে রয়েছে ওই পরিবার। পায়েলের কোমরের নীচ থেকে কার্যত অসাড়। নিজে স্নান করতে পারে না, চলাফেরা খাবার খাওয়া- সবেতেই প্রয়োজন মাকে।

Balurghat: শরীরের তুলনায় মাথা বড় চতুর্গুণ, উচ্চ মাধ্যমিকে ৯২ শতাংশ পেয়ে পায়েলের রুগ্ন হাত স্পর্শ করল আকাশ
মায়ের কোলে পায়েলImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 09, 2024 | 11:10 AM
Share

বালুরঘাট: মাথাটা শরীরের তুলনায় অনেকটা বড়, ভারী। বেশিক্ষণ মাথা তুলে বসে থাকার ক্ষমতা নেই। জন্ম থেকেই মেয়ের এই প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু হাল ছাড়েননি পায়েলের বাবা-মা। অদ্ভুত মানসিক জোর। মেয়েকে আর পাঁচটা স্বাভাবিক সন্তানের মতন করেই বড় করেছেন তাঁরা। শরীরের সঙ্গে এক অসম লড়াই পায়েলের। টিনের চালের এক চিলতে ঘরে বসে সেই পায়েল দেখে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ পেরিয়েছে সে। প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে উচ্চ মাধ্যমিকে অভাবনীয় ফল করেছে বালুরঘাটের কামারপাড়ার পায়েল পাল। ৮০ শতাংশ বিশেষ ভাবে সক্ষম হওয়ার পরও এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে সে ৪৬০ নম্বর পেয়েছে।

মায়ের কোলে চেপেই স্কুলে যায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল পায়েল। ফল প্রকাশের পর তাক লাগিয়েছে পায়েল। এবারে সে ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। আগামীদিনে ব্যাঙ্ক কর্মী হতে যায় পায়েল। আপাতত ভূগোল নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে চায় সে। মেয়ের সাফল্যে আনন্দিত বাবা-মা। কিন্তু দর্জি বাবা দিগেন পালের কাছে মেয়ের চিকিৎসার খরচ মেটানোর পর সংসার চালানোই যেখানে দুস্কর, সেখানে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা কীভাবে করবেন, সেটাই তাঁর চিন্তার।

মেয়েকে কলেজ পর্যন্ত পড়াবেন কীভাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তার বাবা মা। কারণ মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়েই ঋণে জর্জরিত হয়ে রয়েছে ওই পরিবার। পায়েলের কোমরের নীচ থেকে কার্যত অসাড়। নিজে স্নান করতে পারে না, চলাফেরা খাবার খাওয়া- সবেতেই প্রয়োজন মাকে। তবে রুগ্ন হাতে কোনওরকমে কলম চালাতে শিখেছে পায়েল। আর তাতেই বাজিমাত।

বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাদামাইল স্কুলের ছাত্রী পায়েল। এর আগে স্থানীয় একটি স্কুলে পড়ত সে। অষ্টম শ্রেনীতে শুধু একবার দ্বিতীয় স্থানে এসেছিল। তাছাড়া প্রতি ক্লাসেই প্রথম স্থানেই থাকে পায়েল। এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও অন্যথা হয়নি। পায়েলের জন্য গর্বে বুক ভরেছে শিক্ষকদেরও।