ভোট মিটটেই ‘আদি-নব্য কোন্দল’, গঙ্গারামপুরে প্রাণ গেল বিজেপি বুথ সভাপতির
২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় ভোট ছিল গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। ঘটনার সূত্রপাত গত ২৭ এপ্রিল রাতে।
দক্ষিণ দিনাজপুর: ভোট (West Bengal elections 2021) মিটলেও থামছে না হিংসা। এবার বিজেপির বুথ সভাপতির মৃত্যু ঘিরে দলীয় কোন্দলের অভিযোগ উঠল গঙ্গারামপুরে। অভিযোগ, আদি বনাম নব্য বিজেপির সংঘর্ষে প্রাণ হারান বিজেপির বুথ সভাপতি।
বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ৬০ নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি মানবেশ দাসের (৪৫)। সংঘর্ষের ঘটনায় আরও এক বিজেপি কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। নাম তারক দাস। তিনি গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগের আঙুল সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া পিনাকী প্রামাণিকের বিরুদ্ধে।
২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় ভোট ছিল গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। ঘটনার সূত্রপাত গত ২৭ এপ্রিল রাতে। গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন প্রাণ সমিতিতে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আদি বিজেপি কর্মী মানবেশ দাস ও নব্য বিজেপির পিনাকী প্রামাণিক। অভিযোগ, ঝামেলা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। এরই মধ্যে মানবেশের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় পিনাকি ও তাঁর সঙ্গীরা। শুধুমাত্র মানবেশ নয় মারধর করা হয় আরও এক পুরনো বিজেপি কর্মী তারক দাসকেও৷ ঘটনায় দু’জনই গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: হঠাৎ কী এমন ঘটল! ভোটের সকালে হন্তদন্ত হয়ে অনুব্রতের বাড়িতে ডাক্তার-নার্স
আশঙ্কাজনক ছিলেন মানবেশ। রাতেই তাঁকে প্রথমে গঙ্গারামপুর ও পরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সেখানেই মারা যান মানবেশ। এই ঘটনায় কোনও পুলিশি অভিযোগ এখনও দায়ের হয়নি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সনাতন কর্মকার জানান, গত ২৭ তারিখ তাঁদের বুথ সভাপতি-সহ আরও এক বিজেপি কর্মীর উপর হামলা হয়। এমন ঘটনা যে বা যারা ঘটিয়েছে, তারা বিজেপি কর্মী বলে মানতে নারাজ তিনি। তিনি বলেন, “যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা যে দলেরই হোক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: বুথেই ছিল দু’জন, হঠাৎ খোঁজ নেই! খবর এল জাতীয় সড়কের ধারে পড়ে রয়েছে দুই যুবক
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার জানান, “বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যে বা যারা এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে জানিয়েছেন। এই ঘটনায় যদি বিজেপির কেউ যুক্ত থাকে তার বিরুদ্ধে দলগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ঘটনায় তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি জানান, “প্রত্যেক মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই জের।” গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ জানায়, তারা এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ পায়নি।