Viral Video: ক্লাসরুমেই ‘লুঙ্গি ডান্স’ পড়ুয়াদের, ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল
Gangarampur: ১৯৩৩ সালে তৈরি হয় গঙ্গারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ২৪০০ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে।
১৯৩৩ সালে তৈরি হয় গঙ্গারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ২৪০০ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন ৫০ জনের কাছাকাছি। বিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন আগে গঙ্গারামপুর শহরের নিরঞ্জন ঘোষ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে পুর যুব সংসদ প্রতিযোগিতা ছিল। সেখানে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে গঙ্গারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। যুব সংসদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নিয়মিত মহড়া চলছিল। এরই মাঝে শিক্ষক শিক্ষকাদের নজর এড়িয়ে বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম বন্ধ করে হিন্দি গানের সঙ্গে ক্লাসরুমেই তুমুল নাচানাচি করে তারা।
শিক্ষামহলের দাবি, বাচ্চারা হইহুল্লোড় করবেই। সময় যে এখন অনেকটাই বদলেছে, সে কথাও মানতেই হয়। আধুনিক প্রযুক্তি, বিজ্ঞান অনেক বেশি প্রগতিশীল করছে বর্তমান প্রজন্মকে। কিন্তু তা বলে, ঐতিহ্যকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া কখনও আধুনিকতা হতে পারে না। যেমন, সন্তান যতই প্রতিষ্ঠিত হোক না কেন, তাদের কাছে চির সম্মানীয় মা-বাবা। যুগ যতই ইন্টারনেট নির্ভর হোক না কেন, মা-বাবার অবস্থান কিন্তু এতটুকু বদলায়নি। ওয়াকিবহাল মহলের মত, একইভাবে প্রজন্ম যতই আধুনিক হোক না কেন, কোথায় কীরকম আচরণ করতে হবে বা বলতে হবে তা ভুললে চলবে না। ক্লাসরুম পড়ুয়াদের কাছে সেই ঘর, যেখান থেকে শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ নেয় একজন ছাত্র বা ছাত্রী। ক্লাসরুমকে তাই ডান্সফ্লোর ভেবে ভুল করাটা মোটে সমীচীন হয়নি, মত স্কুলের প্রাক্তনীদেরও।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহুল দেববর্মন বলেন, “আমরা বারবার স্কুলে মোবাইল ফোনটা আনতে না করেছি। নোটিস পর্যন্ত দিয়েছি। একটা মোবাইল ধরা পড়লে সেই ফোন আটকে রেখে অভিভাবক ডেকে ৭ দিন ১৫ দিন পর তা ফেরত দিচ্ছি। প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থাও নিয়েছি। এত কিছুর পরও ওদের মধ্যে এই ভয়টুকু তৈরি হচ্ছে না। এবার আরও কঠোর হতে হবে আমাদের। আমরা কিছুতেই পারছি না।”