Youth Death: ইয়ারফোন দিয়ে লাইন পেরতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কা, মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন নাবালকের গোটা শরীর

বালুরঘাট: নতুন ফোন কিনে দিয়েছিল বাবা। চারদিন আগে সেই নতুন ফোনের ভিতর হেডফোন ঢুকিয়ে গান শুনতে-শুনতে রেল পার করছিল বছর ষোলোর নাবালক। তখনই ঘটল অঘটন। পিছন থেকে আসা ট্রেনের ধাক্কায় মুহূর্তে ধড় থেকে আলাদা হয়ে গেল মণ্ডু। ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল কিশোরের।

মৃতের নাম হানিফ আনসারি(১৬)। বাড়ি মালদা জেলার গাজোল থানার ভালুকডাঙা এলাকায়৷ স্থানীয় তরিকুল্লা সরকার হাইস্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া ৷ শুক্রবার বিকেলে গাজোলের সৈয়দপুরে বালুরঘাটগামী শিলিগুড়ি বালুরঘাট ইন্টারসিটি ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। এ দিকে বিষয়টি নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বালুরঘাট জিআরপি থানার পুলিশ ৷ গতকাল সন্ধ্যায় দেহটি উদ্ধারের করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। শনিবার বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে দেহটির ময়নাতদন্ত হয়। এবং পরে দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, হানিফ আনসারি গতকাল বিকেলে নতুন মোবাইলে গান শুনতে-শুনতে রেল লাইন ধরে তার দিদার বাড়ি দলিলপুরে যাচ্ছিল। রেল লাইন দিয়ে দিদার বাড়ি কাছে হয়৷ তাই সে রেল লাইন দিয়েই হাঁটছিল ৷ কিন্তু কানে ছিল হেডফোন। পিছন থেকে রেল আসছিল তা বুঝতে পারেনি ওই কিশোর। এর ফলে পিছন থেকে এসে সজরে ধাক্কা মারে হানিফকে। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তার শরীর খন্ড-খন্ড হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনা আসে পরিবার পরিজন ও বালুরঘাট জিআরপি থানার পুলিশ। পরে জিআরপি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের সময় দেখেন হানিফের দুই কানেই গোঁজা রয়েছে হেডফোন। পাশেই পড়ে রয়েছে মোবাইল। সে জায়গা থেকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান হানিফ মোবাইলে গান শুনতে-শুনতেই রেললাইন দিয়ে যাচ্ছিল। যার ফলে সে ট্রেনের আওয়াজ শুনতে পাননি।

এ বিষয়ে মৃত কিশোরের আত্মীয় আব্দুল হান্নান আনসারী ও সিরাতুল আনসারীদের বক্তব্য, ‘গত চার দিন আগে হানিফের বাবা তাকে নতুন মোবাইল ফোন কিনে দেয়। সেই মোবাইলে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে হানিফ তার দিদার বাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় সৈয়দপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায় সে। কানে হেডফোন লাগানো থাকায় ট্রেনের শব্দ সে পায়নি। পরে বালুরঘাট জিআরপি থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।