North Bengal Medical College: কোথায় উবে যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেলের চিকিৎসকেরা? প্রশ্ন করতেই অধ্যক্ষ বললেন, ‘ঘর থেকে বেরিয়ে যান’
North Bengal Medical College: উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে নেফ্রোলজি বিভাগে গত কয়েক মাস ধরে অনুপস্থিত বিভাগীয় প্রধান অর্পিতা রায় চৌধুরী। সূত্রের খবর, তিনি আসছেন না মেডিকেলে। বেতন নিচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে কার্যত বিভাগীয় প্রধান ছাড়াই মাসের পর মাস চলছে বিভাগ।
শিলিগুড়ি: শুধু মেদিনীপুর মেডিকেলই নয়, সিনিয়ার চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারের অভিযোগ উত্তরবঙ্গ মেডিকেলেও। কেউ সপ্তাহের মাঝে বুধবারে এসে বৃহস্পতিবারেই কলকাতা ফিরে যান। কেউ আবার প্রতি শুক্রবার কলকাতা গিয়ে ফেরেন সোমে। জিঞ্জাসা করলেই নাকি উত্তর মেলে ছুটিতে আছেন। কড়াকড়ি করলেই মেলে চাকরি ছাড়ার হুমকি। চিকিৎসকদের একাংশকে দেখা যায় না ওটিতেও। অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে ওটি থেকে বহু দূরে প্রভাবশালী চিকিৎসকদের একটা বড় অংশই। যদিও নার্সিংহোমের ওটিতে হাজির অনেকেই। সব জেনেও কেন চুপ স্বাস্থ্য দফতর? উঠছে প্রশ্ন।
কোভিডকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ায় কলকাতা থেকে বাসে করে চিকিৎসক দল পাঠানো হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে। পরে জানা যায়, যারা এলেন তারা সকলেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেলেই কর্মরত। এখানে অনডিউটি হয়েও ছিলেন কলকাতায়। কার্যত ধরেবেধে তাদের আনা হয়েছিল সে সময়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিস্তর চাপানউতোর চলেছিল সেই সময়।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে নেফ্রোলজি বিভাগে গত কয়েক মাস ধরে অনুপস্থিত বিভাগীয় প্রধান অর্পিতা রায় চৌধুরী। সূত্রের খবর, তিনি আসছেন না মেডিকেলে। বেতন নিচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে কার্যত বিভাগীয় প্রধান ছাড়াই মাসের পর মাস চলছে বিভাগ। সার্জারি, অর্থোপেডিকে একাধিক চিকিৎসকের দেখা মিলছে না বলেও অভিযোগ। জিঞ্জাসা করলেই উত্তর মেলে ডাক্তারবাবু কলকাতায় গিয়েছেন। ‘ম্যানেজ’ করে ছুটিতে যাওয়ার পাশাপাশি ওটিতেও চলে ‘ম্যানেজ’ পর্ব।
সুশ্রুতনগর নাগরিক মঞ্চের অভিযোগ, দিব্যি রসেবসে ফাঁকিবাঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। সমস্তটাই ম্যানেজে চলে। বহুবার বলেও লাভ হয়নি বলে দাবি করছেন মঞ্চের সদস্য দিবাকর সরকার।
এদিকে মেডিকেল সুপার সঞ্জয় মল্লিকের বক্তব্য, ছুটি ইত্যাদি দেখে প্রিন্সিপাল অফিস। অপারেশনের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিভাগে একাধিক ইউনিট বানানো থাকে। সেই ইউনিট অপারেশন করে। ব্যক্তিগতভাবে সিনিয়র চিকিৎসকেরা অপারেশনে আছেন কিনা তার তালিকা হয় না। তবে চাহিদার তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা যে কম আছে তা মানছেন তিনি।