Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম শিক্ষকের, চাকরি থেকে সাসপেন্ড করল স্কুল
Darjeeling News: ২০১৬ সালে বাপ্পা মালাকার উচ্চ প্রাথমিকের জন্য টেটে বসেন। পাশও করেন। কিন্তু কোনওভাবেই চাকরির চিঠি আসেনি। এরপরই বাপ্পার সঙ্গে পরিচয় আমবাড়ি হাইস্কুলের শিক্ষক সন্তোষ বর্মনের।
শিলিগুড়ি: চাকরি-বিতর্কে (Recruitment Scam) নাম জড়িয়েছিল শিলিগুড়ির এক স্কুল শিক্ষকের। গ্রেফতারও হন তিনি। সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে স্কুলে কাজে যোগ দেন। এবার সেই শিক্ষককে সাসপেন্ড করল স্কুল। সরকারি নিয়ম মেনেই এই সাসপেনশন বলে জানা গিয়েছে। সরকারি আচরণ বিধি অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার বেশি কোনও কর্মী জেল হেফাজতে থাকলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই মোতাবেকই শিলিগুড়ির বরদাকান্ত স্কুলের সংস্কৃতের শিক্ষক পঙ্কজ বর্মনকে সাসপেন্ড করা হয়। গত ২০ জানুয়ারি গ্রেফতার হয়েছিলেন পঙ্কজ বর্মন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি জামিন পান তিনি। সূত্রের খবর, জামিন পেয়ে সোজা স্কুলে গিয়ে হাজির হন পঙ্কজ। অভিযোগ, স্কুল ও শিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখে জামিনে মুক্ত শিক্ষক পঙ্কজ বর্মন স্কুলে যোগ দেন। যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করা হয়। পঙ্কজ বর্মনকে স্কুলে যেতে না করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর সাসপেনশন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বোর্ডকে স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে।
কোচবিহারের মাথাভাঙার বাসিন্দা বাপ্পা মালাকারের অভিযোগের তদন্তে নেমে পঙ্কজ বর্মনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ তুলেছিলেন বাপ্পা। মূলত সন্তোষ বর্মন নামে শিলিগুড়ির এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বাপ্পার। সন্তোষকেই প্রথম গ্রেফতার করা হয়। এরপরই তাঁকে জেরা করে উঠে আসে পঙ্কজ বর্মনের নাম।
২০১৬ সালে বাপ্পা মালাকার উচ্চ প্রাথমিকের জন্য টেটে বসেন। পাশও করেন। কিন্তু কোনওভাবেই চাকরির চিঠি আসেনি। এরপরই বাপ্পার সঙ্গে পরিচয় আমবাড়ি হাইস্কুলের শিক্ষক সন্তোষ বর্মনের। বাপ্পা মালাকারের বক্তব্য অনুযায়ী, সন্তোষ বর্মন তাঁকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। রফা হয় ১৭ লক্ষ টাকায়। চাকরি এক প্রকার নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল মাথাভাঙার যুবকের। কিন্তু বাধ সাধে সম্প্রতি নিয়োগসংক্রান্ত একের পর এক মামলা। আদালতের নির্দেশে প্যানেলও বাতিল হয়।
বাপ্পা মালাকারের কথায়, তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, এ চাকরি তিনি পাবেন না। এরপরই সন্তোষ বর্মনকে টাকা ফেরানোর কথা বলেন। গত ৯ জানুয়ারি আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশের কাছে সন্তোষের নামে লিখিত অভিযোগও জানান। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন আমবাড়ির ওই শিক্ষক। এরপরই উঠে আসে পঙ্কজ বর্মনের নাম।