Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

EXCLUSIVE: শীতলকুচিতে বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়নি চার ব্যক্তির, প্রকাশ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জানাচ্ছে, চার মৃতের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল গুলি লেগে। তবে আরেক ব্যক্তির মৃত্যু স্প্লিন্টারের আঘাতে হয়েছে। সাধারণ বোমা তৈরিতে ব্যবহার হয় স্প্লিন্টার।

EXCLUSIVE: শীতলকুচিতে বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়নি চার ব্যক্তির, প্রকাশ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Apr 20, 2021 | 7:24 PM

কোচবিহার: চতুর্থ দফার ভোটের দিন ঠিক কী ঘটেছিল শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে? কী কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালাতে হয়? এই নিয়ে বিগত কয়েকদিনের চাপানউতোরের পর মৃত চার ব্যক্তির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এল TV9 বাংলার হাতে। সেখানেই প্রকাশ পেয়েছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জানাচ্ছে, চার মৃতের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল গুলি লেগে। তবে আরেক ব্যক্তির মৃত্যু স্প্লিন্টারের আঘাতে হয়েছে। সাধারণ বোমা তৈরিতে ব্যবহার হয় স্প্লিন্টার। ফলে এই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।

ঘটনার পর কোচবিহারের পুলিশ সুপার যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন সেখানে দাবি করা হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ‘আক্রান্ত’ হতে হয়েছিল। যে কারণে আত্মরক্ষার স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালাতে হয়। এই ময়নাতদন্তের রিপোর্টও বস্তুত সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। রিপোর্ট সামনে আসার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি এলাকায় বোমাবাজি হয়েছিল? এক ব্যক্তির শরীরে স্প্লিন্টারের আঘাত কার্যত পরিষ্কার করে দিচ্ছে বোমাবাজির তত্ত্ব।

চতু্র্থ দফা ভোটের দিন ঘটনার পর কমিশনের আঙুল ঘুরেছিল ‘বহিরাগতদের’ দিকে। ওই বুথে বহিরাগতরা ‘উপদ্রব’ করেছিল, এমন দাবিও উঠে এসেছিল। সেই যুক্তি আরোও জোরাল হচ্ছে এই ময়নাতন্তদের রিপোর্ট। কেননা যে চারজন ওই দিন ১২৬ নম্বর বুথে মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন ওই বুথের ভোটার নন। মৃত চারজনের নাম সামিউল মিঞাঁ, হামিদুল মিঞাঁ, মনিরুজ্জিন মিঞাঁ এবং নুর আলম মিঞাঁ। এদের মধ্যে সামিউল মিঞাঁর মৃত্যু হয়েছে স্প্লিন্টারের আঘাতে। অন্যদিকে, নুর আলম মিঞাঁ ১২৬ নম্বর বুথের ভোটার ছিলেন না। তাঁর বুথ ছিল ১২৫ নম্বর যা অনেকটাই দূরে। নুর আলমের মৃত্যু কমিশনের বহিরাগতদের উপস্থিতির তত্ত্বে কার্যত সিলমোহর দিচ্ছে বলা চলে।

আরও পড়ুন: বাংলায় নতুন ‘অবতারে’ করোনা, কয়েকগুণ ছোঁয়াচে স্ট্রেনের বিরুদ্ধে আদৌ কাজ করবে ভ্যাকসিন?

ঘটনার পর একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ওই চারজনের বুকে বন্দুক রেখে গুলি করা হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সেই দাবিও খারিজ করে দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিডিয়াম রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছিল। কারোর শরীরের পিছনে গুলি লেগেছিল, কারোর বা সামনে। তবে স্প্লিন্টারের আঘাতে মৃত্যু যে নতুন করে কমিশনের দাবি আরও পোক্ত করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একই সঙ্গে বাহিনীর আত্মরক্ষার যুক্তিও আরও শক্ত হবে।

আরও পড়ুন: আধাসেনাকে ‘গালাগালি’ ফিরহাদের! ভিডিয়ো প্রকাশ করে দাবি বিজেপির, জল গড়াল কমিশনে

Exclusive ময়নাতদন্তের রিপোর্ট TV9 বাংলার হাতে