হোটেলে এবার থেকে বুকিং ২৫ শতাংশ, সিদ্ধান্ত বীরভূম জেলা প্রশাসনের

এদিন জেলা প্রশাসনের তরফে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানান, যেহেতু রাজ্য সরকারের নতুন নিয়মে বিয়ে বাড়ি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে পর্যটক বুকিংয়ে অনুমতি না দেওয়া হলেও, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী সেই বিষয়টি নিয়েও ভাবনা চিন্তা করা হবে বলে

হোটেলে এবার থেকে বুকিং ২৫ শতাংশ, সিদ্ধান্ত বীরভূম জেলা প্রশাসনের
এখন থেকে ২৫ শতাংশ বুকিং নিয়ে হোটেল খুলবে সিদ্ধান্ত প্রশাসনের। নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2022 | 5:03 PM

বীরভূম: বীরভূমের পর্যটন ব্যবসায় খুশির জোয়ার প্রশাসনের সিদ্ধান্তে। করোনা অতিমারীতে বন্ধ থাকা হোটেলগুলি এবার থেকে নিতে পারবে ২৫ শতাংশ বুকিং। তবে সাধারণ পর্যটকদের বুকিং নিতে পারবে না হোটেলগুলি। এই ছাড় দেওয়া হল শিল্প বা অন্যান্য জরুরী কাজের জন্য। যা সামান্য হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস বয়ে আনল বীরভূমের হোটেল ব্যবসায়ী মহলে।

বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফে হোটেল বুকিংয়ের জন্য ২৫ শতাংশ ছাড় পেলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে এখনই পর্যটকদের জন্য খুলছে না হোটেল, তবে ব্যবসা বা অন্যান্য জরুরী ক্ষেত্রের জন্য কেউ বীরভূমে এলে যাতে সমস্যায় না পড়েন, সে কথা মাথায় রেখেই প্রশাসনের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়।

করোনার অতিমারির কারণে এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে বিয়ের মরসুম চলছে, তাছাড়া ব্যবসা, শিল্প, এবং অন্যান্য জরুরী কারণেও হোটেল বুকিং করতে পারছিলেন না অনেকে। জেলাশাসকের নতুন নির্দেশের পর অনেকটাই স্বস্তিতে বীরভূমের হোটেল ব্যবসায়ীরা। বীরভূমের অন্যতম পর্যটন ক্ষেত্র তারাপীঠ, বোলপুরে এই মুহূর্তে পর্যটক বুকিং না হলেও কিছুটা স্বস্তিতে হোটেল মালিকরা।

এদিন জেলা প্রশাসনের তরফে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানান, যেহেতু রাজ্য সরকারের নতুন নিয়মে বিয়ে বাড়ি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে পর্যটক বুকিংয়ে অনুমতি না দেওয়া হলেও, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী সেই বিষয়টি নিয়েও ভাবনা চিন্তা করা হবে বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে বীরভূমের এক হোটেল মালিক সজল ঘোষ বলেন, জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে আমরা অনেকটাই খুশি। যা সমস্যা ছিল তা থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসা যাবে। অন্তত চালিয়ে নিতে পারব আমরা। একেবারে পুরোপুরি বন্ধ ছিল তা থেকে সামান্য হলেও হোটেল, লজ খুলতে পারব আমরা, তাতে অন্তত আমরা কাজ চালিয়ে নিতে পারব। বরং একেবারে বন্ধ হওয়ায় আমরা মুশকিলেই পড়েছিলাম। এমনিতেই হোটেল দু বছর ধরে বন্ধ ছিল, এখন যদি এভাবে দফায় দফায় বন্ধ হয় তাহলে তো পথে বসতে হত আমাদের। পর্যটকরা বুকিং করতে না পারলেও এই ২৫ শতাংশের অনুমতিতে আমাদের কিছুটা তো সুরাহা হবে, অন্তত কর্মচারীদের মাইনেটুকুর খরচ তো আমরা তুলতে পারব।

আরও পড়ুন: Omicron Variant: দুটি সমান্তরাল অতিমারি? ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের মাঝে উঠছে নতুন প্রশ্ন