Arambag News: আরামবাগে কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণে টেন্ডার দুর্নীতি ধরা পড়ল হাতে নাতে! ছবি ভাইরাল

Arambag News: এক গ্রামবাসী বলেন, "সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না। সেচ দফতরের লোক নিজেদের লোককে টেন্ডার পাইয়ে দিচ্ছে। কাটমানি খাচ্ছে তারা। কাজ হচ্ছে নিম্নমানের।"

Arambag News: আরামবাগে কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণে টেন্ডার দুর্নীতি ধরা পড়ল হাতে নাতে! ছবি ভাইরাল
আরামবাগে টেন্ডার দুর্নীতি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2021 | 8:12 AM

হুগলি: কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাঁধের কাজ করা হয়েছিল ২ বছর আগে। গত বন্যায় ফের বাঁধ ভেঙে যায়। আবারও সেচ দফতর থেকে বাঁধ সংস্কারের কাজে হাত লাগায়। আর সংস্কার শেষের মুখেই জাওয়াদের জেরে নিম্নচাপের কয়েকদিনের বৃষ্টিতেই আবারও ধসে যায় শাল বোল্ডার। খানাকুলের ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর গ্রামের এই খবর TV9 বাংলা আগেই করেছিল। এবার Tv9 বাংলার তদন্তে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আরামবাগ সেচ দফতরের অফিসেই চলছে বাঁধ মেরামতির টেন্ডার দুর্নীতি। আর টেন্ডার দুর্নীতি হাতেনাতে ধরে ফেললেন অন্যান্য ঠিকাদাররাই। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে ছবি। উল্লেখ্য, আরামবাগ মহকুমা সেচ দফতরের অফিসে গত ১০ ডিসেম্বর ঠিকাদারেরা টেন্ডার ড্রপ করতে যান। ড্রপ বক্সে তা জমা করার কথা। অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ড্রপ বক্স সিল না করে এখানকার হেড ক্লার্ক দিব্যেন্দু চক্রবর্তী সকলের অলক্ষ্যে তাঁদের পছন্দ মতো এক ঠিকাদারের টেন্ডার নিজের হাতে বাক্সে জমা করতে থাকেন। আর তা করতে গিয়েই হাতে নাতে ধরা পড়ে যান।

অভিযোগ , এই দফতরের আধিকারিক দীনবন্ধু ঘোষের মদত ও প্রশ্রয়ে তিনি এই দুর্নীতি কর‍তে গিয়েছিলেন। অথচ দূর দূরান্ত থেকে বহু ঠিকাদার গিয়েছিলেন তাঁদের টেন্ডার ড্রপ করতে। আর তাঁরাই মোবাইলে ছবি তোলেন। হেড ক্লার্ক দিব্যেন্দু চক্রবর্তীর এই অনৈতিক কাজের প্রমাণ ধরা থাকে মোবাইলে।

প্রশ্ন উঠেছে, নির্দিষ্ট সময় সীমা পার হয়ে যাওয়ার পর কেন ড্রপ বক্স সিল করে দেওয়া হয় নি? কেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অফিসে ছিলেন না ? কেন অফিসের ক্লার্ক এই কাজে যুক্ত হলেন? যদিও Tv9 বাংলার ক্যামেরার সামনে কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে চাননি অভিযুক্তরা।

অন্যদিকে, স্থানীয় মানুষজন সেচ দপ্তরের বাঁধ সংস্কারের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন আগেই। স্টেট ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ডের প্রায় ২০০ কোটিরও বেশি টাকায় আরামবাগ মহকুমায় প্রবাহিত দ্বারকেশ্বর, মুণ্ডেশ্বরী, রূপনারায়ণ, দামোদর নদী বাঁধের সংস্কারের কাজ হবে। আর তারই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে বলে অভিযোগ।

যদিও tv9 বাংলার ক্যামেরার মুখোমুখি হতে চাননি কোনও সেচ দফতরের আধিকারিক। এক ঠিকাদার বলেন, “আমরা সেচ দফতরকে বারবার বলেছিলাম। সেচ দফতর আমাদের কথায় কান দেয়নি। ওদের নিজেদেরই লোক ড্রপ বক্সে টেন্ডার ফেলছেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন সেচের কাজ কেমন হবে? এর খেসারত গ্রামবাসীদের দিতে হচ্ছে। আরামবাগের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৬৫ কোটি টাকা। সেখানে বাঁধের কাজে সব থেকে নিম্নমানের দ্রব্য দিয়ে কাজ করছে। টেন্ডার কতটা কী হয়েছে, তা হোর্ডিং টাঙিয়ে কাজ করুক। তা করছেন না।”

এক গ্রামবাসী বলেন, “সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না। সেচ দফতরের লোক নিজেদের লোককে টেন্ডার পাইয়ে দিচ্ছে। কাটমানি খাচ্ছে তারা। কাজ হচ্ছে নিম্নমানের। রাজ্য সরকার যে পরিমাণ টাকা দিচ্ছে, তাতে অনেক উন্নত মানের কাজ হওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে কই! ” প্রশাসনের নজরদারির দাবি তুলেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: মেয়াদ শেষের আগেই ইস্তফা দুর্গাপুরের মেয়রের, উত্তরসূরি নিয়ে জল্পনা