Jagaddhatri Puja: এবারও জগদ্ধাত্রী পুজোয় দশমীর দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে চন্দননগর, নেপথ্যে কী কারণ?

Jagaddhatri Puja: খোলা হচ্ছে কোন্ট্রোল রুম। চন্দননগরের সর্বত্র ডিসপ্লে করা হবে সেই নম্বর।

Jagaddhatri Puja: এবারও জগদ্ধাত্রী পুজোয় দশমীর দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে চন্দননগর, নেপথ্যে কী কারণ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2022 | 5:21 PM

চন্দননগর: এবারও দশমীর দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে চন্দননগর (Chandannagar)। ভূগর্ভস্থ কেবল বসানোর কাজ শুরু হবে ডিসেম্বর জানুয়ারি মাসে, জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে রিভিউ মিটিং এসে বললেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন চন্দননগরে জ্যোতিরিন্দ্র সভাগৃহে জেলা প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারীকদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন,ডব্লিউবিএসইডিসিএল-এর চেয়ারম্যান শান্তনু বসু, হুগলির জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া, চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি,চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী,পুর কমিশনার স্বপন কুন্ডু সহ প্রশাসন ও বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার আধিকারিকরা।

মিটিং শেষে বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেন, “চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো জগদ্বিখ্যাত। দিন দিন এর পরিধি বাড়ছে। বিদ্যুতের লোড বাড়ছে।” মন্ত্রী তথ্য দিয়ে বলেন, “২০১১ সালে ১৪৫ টা পুজো আবেদন করেছিল। ২০২২ সালে ২২১ টা পুজো আবেদন করেছে। ৫২ শতাংশ পুজো বেড়েছে। ২০১১ সালে বিদ্যুতের লোড ছিল ২.৭২ মেগা ওয়াট। ২০২২ সালে ১৮৮ শতাংশ বেড়ে সেটা হয়েছে ৭.৮ মেগা ওয়াট। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় সর্বোচ্চ পাওয়ার প্রয়োজন হতো ৩৮.৯৬ মেগা ওয়াট। এবার ৫০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। মন্ত্রী বলেন, ৯৭.৮ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ক্ষমতা রয়েছে ডব্লিউবিডিসিএল-এর। তাই বিদ্যুতের চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে গেলেও কোনও সমস্যা হবেনা।

একইসঙ্গে তিনি জানান, জগদ্ধাত্রী পুজো চলার সময় যাতে বিদ্যুতের কোন রকম সমস্যা দেখা দেয় সেই কারণে ৬৬৫ জন কর্মী দিন রাত কাজ করবেন। ১৩ টা অফিস খোলা থাকবে। ৪১টা মোবাইল ভ্যান ঘুরবে। নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখতে সমস্ত দফতরের সঙ্গে মিটিং করা হয়েছে। গত দু’বছর করোনার জন্য শোভাযাত্রা করা যায়নি। এবার শোভাযাত্রায় এবং দিনের বিসর্জনের জন্য সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে চন্দনগর। বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎ পরিষেবা। তবে জলের পাম্প চালু রাখা হবে। থাকবে জেনারেটেরের ব্যবস্থা।”

গত বছরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল চন্দননগরে বিদ্যুৎ সমস্যা মিটিয়ে এবার দশমীতে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু থাকবে। ভূগর্ভস্থ কেবল বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। যে কাজের জন্য ১০৫ কোটি টাকা অনুমোদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুৎ মন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেন ডিসেম্বরের শেষ নয়ত জানুয়ারির শুরুতে এই কাজ শুরু হবে। আগামী বছর আর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে না চন্দননগর। জগদ্ধাত্রী পুজোর চারদিন চন্দননগর স্বাগত লজে স্পেশাল ক্যাম্প করা হবে যেখানে একশ জন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক থাকবেন নজরদারি করার জন্য।

বিদ্যুৎ সক্রান্ত কোনও সমস্যা দেখা দিলে সাধারন মানুষ,চন্দননগরবাসী থেকে দর্শনার্থীরা যাতে বিদ্যুৎ দফতরে খবর দিতে পারেন বা কোনও সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারেন সেই কারণে টোল ফ্রি নম্বর ১৯১২১ এবং কন্ট্রোল রুম নম্বর ৮৯০০৭৯৭৪১৭ চন্দননগরের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ডিসপ্লে বোর্ডেও থাকবে সেই নম্বর।